সফররত থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশের পোশাক খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছে তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। পাশাপাশি বিনিয়োগের জন্য বাণিজ্যিক উন্নয়নে কাজ করার আগ্রহের কথা জানিয়েছেন থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীরা। গতকাল বিজিএমইএ ভবনে পোশাক মালিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ আগ্রহের কথা জানায় সফররত ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল। থাইল্যান্ডের ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর ট্রেড অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইটিডি) নির্বাহী পরিচালক মানু সিথিপ্রাসাসানা বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুযোগ-সুবিধা ভালো, আর্থ-সামাজিক অবস্থা ও জিডিপির প্রবৃদ্ধি খুব ভালো। এ দেশে বিনিয়োগের পরিবেশ আছে, যা আমাদের আকৃষ্ট করেছে। বিজিএমইএ প্রথম সহ-সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, আমাদের দেশে শুল্কমুক্ত সুবিধা আছে, থাইল্যান্ড গ্রহণ করতে পারে। বর্তমানে থাইল্যান্ডের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্য তেমন নেই। তিনি বলেন, থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে আমরা তাদের সার্বিক সহযোগিতা করবো।
আমরা মনে করি, দু’দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য অনেক বাড়ানো সম্ভব। ১৪ সদস্য বিশিষ্ট থাইল্যান্ড বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন থাইল্যান্ডের ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর ট্রেড অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইটিডি) নির্বাহী পরিচালক মানু সিথিপ্রাসাসানা। বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও ব্যবসা পরিচালনায় বিদ্যমান সমস্যা ও সম্ভাবনা সম্পর্কে সরজমিনে ধারণা নিতে রোববার থাইল্যান্ড ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল ঢাকায় আসে। আগামী ২১শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তারা বাংলাদেশে অবস্থান করবে। প্রতিনিধি দলটি বিজিএমইএ ভবনে এলে তাদের স্বাগত জানান বিজিএমইএ প্রথম সহ-সভাপতি ফারুক হাসান। এ সময় সহ-সভাপতি (অর্থ) মোহাম্মদ নাছির ও পরিচালক মো. মুনির হোসেন উপস্থিত ছিলেন। সহ-সভাপতি মোহাম্মদ নাছির বলেন, বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানিকারকরা থাইল্যান্ডে পোশাক রপ্তানি করতে আগ্রহী। কিন্তু শুল্ক বাধার কারণে তা সম্ভব হয় না। বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের জন্য শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা প্রদানের বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণের জন্য থাই প্রতিনিধিদলকে অনুরোধ জানান। তিনি বাংলাদেশের বস্ত্রখাতে বিশেষ করে সিনথেটিক ইয়ার্ন ও ফেব্রিক্স উৎপাদনে বিনিয়োগের জন্য থাই প্রতিনিধিদলকে আহ্বান জানান। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব এ.এইচ.এম. সফিকুজ্জামান বলেন, থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের বাংলাদেশ সফর দু’দেশের বাণিজ্য প্রসারে নতুন দিগন্ত উন্মোচনের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। তিনি এ সুযোগ কাজে লাগানোর জন্য উপস্থিত সবাইকে অনুরোধ জানান।
সভায় পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পকে উপস্থাপন করা হয়।
থাই প্রতিনিধিদলের সদস্যরা বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও ব্যবসা সম্প্রসারণ এবং ব্যবসা পরিচালনায় বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতা সম্পর্কে সরজমিনে ধারণা গ্রহণের জন্যই ঢাকা সফরে এসেছেন। আলোচনাকালে তারা বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের ভূয়সী প্রশংসা করেন।