× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আগস্ট মাসে ২৯৩ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি

এক্সক্লুসিভ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার
১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮, মঙ্গলবার

গত আগস্ট মাসে বাংলাদেশ থেকে ২৯২ কোটি ৮১ লাখ ডলার বা ২৪ হাজার ৫৯৬ কোটি টাকার তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। আর চলতি (২০১৮-১৯) অর্থবছরের প্রথম দুই মাস জুলাই-আগস্টে পোশাক খাতের রপ্তানি দাঁড়িয়েছে ৫৭৩ কোটি ৫১ লাখ ডলারে। এতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩ দশমিক ৮২ শতাংশ। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) ও বিজিএমইএ রপ্তানি আয়ের হালনাগাদ পরিসংখ্যানে এসব তথ্য জানা গেছে। খাত সংশ্লিষ্টরা জানান, ঈদুল আজহার ছুটির কারণে গত আগস্ট মাসের শেষ ১০ দিন পণ্য রপ্তানি হয়নি। তারপরও ওই মাসে তৈরি পোশাক রপ্তানির প্রবৃদ্ধি বেড়েছে। ৮০ শতাংশের বেশি কারখানা উন্নত কর্মপরিবেশের (কমপ্লায়েন্স) আওতায় চলে এসেছে। এতে বায়াররাও খুশি।
অর্থবছরের বাকি মাসগুলোতে আয় বাড়বে বলে আশা করেন তারা।
ইপিবি’র পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, তৈরি পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হলেও চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য; পাট ও পাটপণ্য; হোম টেক্সটাইল এবং হিমায়িত চিংড়ির মতো অন্য বড় খাতগুলোর রপ্তানিতে ধস নেমেছে। ফলে সামগ্রিকভাবে পণ্য রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির হার কম হয়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে সব মিলিয়ে ৬৭৯ কোটি ৫০ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এ ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২ দশমিক ৫১ শতাংশ। গত অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে রপ্তানি হয়েছিল ৬৬২ কোটি ৮৬ লাখ ডলারের পণ্য। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জন্য মোট রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৩ হাজার ৯০০ কোটি ডলার। ইপিবি রপ্তানি আয়ের হালনাগাদ তথ্যে দেখা যায়, চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি থেকে বাংলাদেশ ৬৭৯ কোটি ৫০ লাখ ডলার আয় করেছে। এই অঙ্ক গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ২ দশমিক ৫১ শতাংশ বেশি; লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আয় বেড়েছে ৩ দশমিক ২৪ শতাংশ। বিজিএমইএ ও ইপিবি’র তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, জুলাই-আগস্ট সময়ে মোট রপ্তানি আয়ের ৮৪ দশমিক ৪০ শতাংশই এসেছে তৈরি পোশাক রপ্তানি থেকে। অর্থাৎ ৬৭৯ কোটি ৫০ লাখ ডলারের মধ্যে ৫৭৩ কোটি ৫১ লাখ ডলারই এ খাত থেকে এসেছে। এর মধ্যে নিট পোশাক রপ্তানি থেকে এসেছে ২৯১ কোটি ২৮ লাখ ডলার; প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১ দশমিক ৫৩ শতাংশ। উভেন পোশাক রপ্তানি করে আয় হয়েছে ২৮২ কোটি ২২ লাখ ডলার; প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ২৪ শতাংশ। মূলত, তৈরি পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি কম হওয়ার কারণেই আগস্টে সার্বিক রপ্তানি আয় কম হয়েছে। জুলাইয়ে পোশাক রপ্তানি বেড়ে ২২ শতাংশের মতো প্রবৃদ্ধি হলেও আগস্টে হয়েছে ৩ দশমিক ৮২ শতাংশ।
বিজিএমইএ কর্মকর্তারা বলেন, কোরবানি ঈদের ছুটির কারণে গত মাসের শেষ ১০ দিন ভালোভাবে রপ্তানি হয়নি। তারপরও গত দুই মাস মিলিয়ে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে তা মোটামুটি ভালো। তবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে ক্রয়াদেশ কিছুটা কমতে পারে।
এদিকে পোশাক রপ্তানিতে ৪ শতাংশের কাছাকাছি প্রবৃদ্ধি হলেও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রপ্তানি খাত চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না। চলতি অর্থবছরের দুই মাসে ১৮ কোটি ডলারের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে। গত অর্থবছরের একই সময়ে রপ্তানি হয়েছিল ২৪ কোটি ডলারের পণ্য। সেই হিসাবে এবার রপ্তানি কমেছে ২৬ দশমিক ২৬ শতাংশ।
দীর্ঘদিন ধরে রপ্তানি আয়ে পাট ও পাটপণ্য তৃতীয় অবস্থানে থাকলেও এবার সেটি পাঁচ নম্বরে নেমে গেছে। আলোচ্য দুই মাসে সেই অবস্থান দখল করেছে কৃষিজাত পণ্য। কৃষিপণ্য রপ্তানিতে ১৮ কোটি ডলার আয় হয়েছে। এ ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬৮ শতাংশ।
পাট ও পাটপণ্য রপ্তানিতে ১৩ কোটি ডলার আয় হয়েছে। এর মধ্যে ১ কোটি ৯৬ লাখ ডলারের কাঁচাপাট, ৮ কোটি ৩৪ লাখ ডলারের পাটসুতা, ১ কোটি ৩৮ লাখ ডলারের পাটের বস্তা রপ্তানি হয়েছে। তবে গত অর্থবছরের চেয়ে পাট ও পাটপণ্যের রপ্তানি কমেছে ১৫ দশমিক ৫০ শতাংশ। হোম টেক্সটাইল রপ্তানিতে ১৩ কোটি ৪৩ লাখ ডলারের আয় হলেও আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে পণ্যটি রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি কমেছে ৪ দশমিক ৫০ শতাংশ।
চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে ৮ কোটি ৭২ লাখ ডলারের হিমায়িত খাদ্য রপ্তানি হয়েছে। এর মধ্যে চিংড়ি রপ্তানি করে ৭ কোটি ৩৪ লাখ ডলার আয় হয়েছে। তবে গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে চিংড়ি রপ্তানি কমেছে প্রায় ৩৬ শতাংশ। এ ছাড়া সিরামিকপণ্য রপ্তানিতে ২৯৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এই পণ্য রপ্তানি করে আয় হয়েছে ২ কোটি ৯৫ লাখ ডলার।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর