× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

থানছিতে উদ্বোধনের আগেই বিদ্যালয় ভবনে ফাটল

এক্সক্লুসিভ

বান্দরবান প্রতিনিধি
১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮, মঙ্গলবার

বান্দরবানের থানচি উপজেলা বড়মদক ইউনিয়নে উদ্বোধনের আগেই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনে ফাটল দেখা দিয়েছে। প্রাক্কলিত ব্যয়ের ২০% অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দ দেয়ার পরও শিশুদের জন্য তৈরি করা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়ভাবে আগুনে পুড়িয়ে তৈরি করা ইটসহ নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে ভবনটি নির্মাণের ফলে কাজ বুঝিয়ে দেয়ার আগেই ভবনে ফাটল দেখা দিয়েছে অভিযোগ স্থানীয়দের।

এলজিইডি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, পিডিবি-৩ প্রকল্পের আওতায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের অর্থায়নে জেলার থানচি, নাইক্ষ্যংছড়ি, রোয়াংছড়ি, রুমাসহ বিভিন্ন উপজেলায় দুই তলা বিশিষ্ট প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন নির্মাণের টেন্ডার আহ্বান করা হয়। তার মধ্যে রেমাক্রি ইউনিয়নের বড়মদক এলাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনটি কক্সবাজারের নূর আল লাইসেন্সের স্বত্বাধিকারী  নূরুল আলম, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও রেমাক্রি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মুইশৈ থুই মারমা রনি এবং শৈক্যচিং তিনজন মিলে উন্নয়ন কাজটি বাস্তবায়ন করেছে। দুর্গমতার কারণে প্রাক্কলিত ব্যয়ের চেয়ে ২০% অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয় বিদ্যালয় ভবনটি নির্মাণে। তারপরও পিডিবি-৩ ২০১৬-১৭ সালের উন্নয়ন কাজটি নির্ধারিত সময় গত জুন মাসে বুঝিয়ে দিতে পারেনি ঠিকারদার। উল্টো ভবনের বিভিন্ন স্থানে দেয়ালে ফাটল এবং ফ্লোর ঢেবে গেছে।


স্থানীয়দের অভিযোগ, ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগ এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান মুইশৈ থুই মারমা রনি কোনো ধরনের নিয়মনীতি অনুসরণ না করেই স্থানীয় সাঙ্গু নদীর বালি এবং স্থানীয়ভাবে লাকড়ি দিয়ে আগুনে পুড়িয়ে তৈরি করা ইট দিয়ে দায়সাড়াভাবে বিদ্যালয় ভবনটি নির্মাণ করেছে। বিদ্যালয় ভবনটির গোড়ায় অর্থাৎ ফাউন্ডেশনেই সমস্যা আছে। দুর্গমতার কারণে এলজিইডি’র দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজের তদারকি করতে না পারায় নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে যেনতেন ভাবে কাজটি সম্পন্ন করেছে ঠিকাদার। ইউপি চেয়ারম্যান নিজেই কাজের ঠিকাদার হওয়ায় অভিযোগ দিয়েও কোনো ফায়দা হয়নি।

নির্মাণ কাজের ঠিকাদার আওয়ামী লীগ নেতা মুইশৈ থুই রনি বলেন, নির্মাণ কাজে সাঙ্গু নদীর বালি এবং পাহাড়ে স্থানীয়ভাবে আগুন পুড়িয়ে তৈরি করা ইট ব্যবহার করা হয়েছে কথাটি সত্যি। তবে সেটির পরিমাণ বেশি নয়। মূলত উন্নতমানের ঝংকার বালি এবং ইটেরভাটার ইট ব্যবহার করেই বিদ্যালয় ভবনটি নির্মাণ করেছি। ভরানো মাটিতে ফ্লোর করায় এবং সাঙ্গু নদীর বালির কারণে কয়েকটি স্থানে ফাটল এবং ফ্লোর ঢেবে গেছে। সেগুলো আমরা ঠিক করে দিবো। প্রাক্কলিত ব্যয়ের ২০% অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দ দেয়ার পরও আমাদের লোকসান হবে।

এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডি) থানচি উপজেলার ভারপ্রাপ্ত উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার রবিউল হোসেন জানান, বড়মদক বিদ্যালয় ভবনের দেয়ালে এবং ফ্লোরে ফাটল দেখা দেয়ার খবর আমরা পেয়েছি। কাজটি এখনো আমরা ঠিকাদারের কাছ থেকে বুঝে নিইনি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বলেছি কাজটি সঠিকভাবে নির্মাণ করে দেয়ার পর আমরা বুঝে নেবো।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর