বর্তমানে দেশে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের আওতাধীনে মোট ৩ লাখ ১০ হাজার ৫১১টি পদ শূন্য রয়েছে। কোনো কোনো দপ্তর/সংস্থায় নিয়োগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন, কিছু কিছু পদ পদোন্নতির মাধ্যমে পূরণযোগ্য এবং কিছু কিছু পদ বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের মাধ্যমে পূরণযোগ্য বিধায় শূন্য পদ পূরণের তারিখ নির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা সম্ভব নয়। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সোমবার সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর-পর্বে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য আবুল কালামের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। তার অনুপস্থিতিতে সংসদে প্রশ্নের উত্তর দেন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক। একই সংসদ সদস্যের অপর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, প্রজাতন্ত্রের অফিস-আদালতে সাধারণ মানুষ যাতে সঠিক সেবা পায় সেই বিষয়ে বর্তমান সরকার গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিটিজেন চার্টার প্রস্তুত ও প্রদর্শনের মাধ্যমে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সেবা প্রদানের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। সেবাদানের ক্ষেত্রে যেকোনো অনিয়ম/ত্রুটি পরিলক্ষিত হলে সে বিষয়ে প্রতিকারের জন্য ‘অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা (জিআরএস) চালু করা হয়েছে। অধীন দপ্তর/সংস্থা ও মাঠ প্রশাসনের সার্বিক কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
তিনি জানান, সরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহে হেল্প ডেক্স স্থাপন করা হয়েছে এবং মাঠ প্রশাসনে ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। সরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি করা হয়েছে। যেমন- ইএফটিএন, ই-নথি, ই-মেইল মারফত দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। সরকারি ক্রয়ে স্বচ্ছতা আনতে ই-জিপি/ই-টেন্ডারিং চালু করা হয়েছে। সাধারণ মানুষ যাতে যথাসময়ে সরকারি কর্মচারীদের সেবা পায় তা নিশ্চিত করতে সকল সরকারি অফিসে ইলেকট্রনিক হাজিরা চালু করা হয়েছে।
সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, বর্তমানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নথি ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত কার্যক্রম ই-নথির মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হয়। কর্মকর্তাদের ছুটি, অবসর ও অবসরোত্তর ছুটি বিভিন্ন ধরনের অনাপত্তি সনদ প্রদান ইত্যাদি সেবাসমূহ ই-নথির মাধ্যমে নিষ্পত্তির ফলে কোনো প্রকার ভিজিট ছাড়াই সহজ ও দ্রুততম সময়ে স্বচ্ছভাবে জবাবদিহিতার সঙ্গে সেবা প্রদান সম্ভব হচ্ছে।