× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

চট্টগ্রামই টার্গেট ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৫০ নারীর

দেশ বিদেশ

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮, মঙ্গলবার

৫ থেকে ৭ জন দল বেঁেধ আসেন চট্টগ্রামে। উঠেন হোটেলে। দুই-তিনদিন থেকে কয়েকটি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটিয়ে চলে যান ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। আসা-যাওয়ার পথে ঢাকায়ও ছিনতাই অপারেশন করেন তারা। তবে সংখ্যায় কম। তাদের মূল টার্গেট চট্টগ্রামই। জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে এমন তথ্যই দেন ছিনতাইকালে জনতার হাতে ধরা পড়া নারী ছিনতাই চক্রের সদস্য নাজমা বেগম (৩৫)। তার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার ধরলাগ্রামে।
নাজমা বেগম রোববার সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের আলমাস সিনেমা হলের সামনে আরেক নারীর স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়ার সময় জনতার হাতে ধরা পড়ে। পরে তাকে কোতোয়ালি থানায় সোপর্দ করা হয়।

ধরা পড়ার পর গতকাল সকালে জিজ্ঞাসাবাদে নাজমা বেগম পুলিশকে তথ্য দেয়-তিনি শুধু একা নন। তার দলে অন্তত ৫০ জন নারী রয়েছেন। যারা ছিনতাই কাজে জড়িত। যাদের প্রত্যেকের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার ধরলা গ্রামে।
নাজমার ভাষ্যমতে, চট্টগ্রাম নাকি মধ্যপ্রাচ্যের আবুধাবি। এখানকার লোক ধনী। চট্টগ্রামের মেয়ে ও বউয়েরা স্বর্ণালংকার ও দামি মোবাইল ব্যবহার করে বেশি। তাই তাদের কাছ থেকে এসব ছিনিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা থেকে গ্রামের নারীদের নিয়ে দল করা হয়। গত ১০-১২ বছর ধরে এই ছিনতাই কাজে জড়িত হয়ে পড়ে বলে জানান নাজমা বেগম।   

কোতোয়ালি থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) মোহাম্মদ মহসিন জানান, গত ২৯শে জুন ছিনতাই করার সময় সাত নারীসহ নাজমা বেগম পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। ২২শে জুলাই চট্টগ্রামের মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত থেকে জামিন পেয়ে তারা আবারো ছিনতাই কাজে জড়িয়ে পড়ে। নাজমা বেগমসহ যে সাত নারীকে গ্রেপ্তার করা হয় তাদের সবার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার ধরলা গ্রামে।

ওসি বলেন, নাজমা বেগম ওই গ্রামের অন্তত ৫০ নারীর তথ্য দিয়েছে আমাদের। যারা সবাই ছিনতাইয়ে জড়িত। তারা বিভিন্ন সময় চট্টগ্রামে ছিনতাই কাজে যুক্ত ছিল। এরা ঢাকা এবং চট্টগ্রামে কয়েকদিন থাকে, ছিনতাই করে, আবার গ্রামে ফিরে যায়। তাদের টার্গেট শুধু চট্টগ্রামের নারীরা। গলা থেকে সোনার চেইন ছিনতাই করে নিয়ে চলে যায় তারা। তবে তাদের অপরাধ কর্মকাণ্ড সম্পর্কে ওখানকার এলাকাবাসী কিছু জানেন না বলে জানান ওসি।

জানা গেছে, ধরলা ইউনিয়নে মোট জনসংখ্যা প্রায় ২০ হাজার। দেওরত, ধরমণ্ডল, গন্না, দৌলতপুর ও সাইউক নামে ইউনিয়নটি পাঁচটি গ্রাম নিয়ে গঠিত। ঐতিহাসিক দিক দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলাটির গুরুত্ব আছে। সেই উপজেলারই একটি ইউনিয়নে একই গ্রামে বসবাস করছে অর্ধশত ভদ্রবেশী নারী অপরাধী। যাদের শনাক্ত করেছে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ। তাদের গ্রেপ্তারে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর