সামনের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে নির্বাচনী জোট গঠন করার ইচ্ছা পোষণ করেছে নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধিত দলের তালিকা থেকে বাদ পড়া ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন। গতকাল সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির চেয়ারম্যান ড. কাজী ফারুক আহমেদ এ ইচ্ছা পোষণ করে। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসার পর দেশে অনেক উন্নয়ন হয়েছে।
বিশ্বের দরবারে ছড়িয়ে পড়েছে দেশের সুনাম। উন্নয়নশীল দেশের কাতারে এসেছে বাংলাদেশ। এই ধারা অব্যাহত রাখার জন্য আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে নির্বাচনী জোট করতে চায় ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন। ড. কাজী ফারুক আহমেদ বলেন, দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব। বিশ্বের অনেক দেশে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হয়। সেই নির্বাচনের ফলাফল সব দল মেনে নিয়ে দেশ গঠনে কাজ করে।
তিনি আরো বলেন, কোন সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে এ বিষয়ে সংবিধান পরিবর্তন হয়েছে। সংবিধান হচ্ছে দেশের সর্বোচ্চ আইন। সেই আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আমাদের আগামীতে দলীয় সরকারের অধীনে সব দলকে অংশগ্রহণ করতে হবে। নির্বাচন কমিশনকে আরো বেশি শক্তিশালী করতে হবে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে ড. কাজী ফারুক আহমেদ বলেন, ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন গত ১০ বছর আগে রাজনৈতিক দল হিসেবে নির্বাচন কমিশন থেকে সকল শর্ত পূরণ করে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধিত হয়। বিএনপির আমলে তার নামে ১৯টি মামলা দায়ের হয়। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর সব মামলাগুলো প্রত্যাহার করে নিয়েছে। আগামী নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে ক্ষমতায় আনার ক্ষেত্রে তার দল যথাযথ ভূমিকা রাখবে। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম পিন্টু ও সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুল খালেক।
প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালে নির্বাচনের আগে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা প্রশিকার তৎকালীন চেয়ারম্যান কাজী ফারুক আহমেদের নেতৃত্বে ‘ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন’-এর আত্মপ্রকাশ ঘটে। অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে ২০০৯ সালের ২৪শে মে কাজী ফারুককে প্রশিকার চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণ করে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদ। এরপর দলটির কার্যক্রম মুখ থুবড়ে পড়ে। গত জুন মাসে প্রয়োজনীয় তথ্য না দেয়ায় দলটির নিবন্ধন বাতিল করে নির্বাচন কমিশন।