× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

গাজীপুরে জোড়া খুন

অনলাইন

গাজীপুর প্রতিনিধি
(৫ বছর আগে) সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৮, মঙ্গলবার, ১১:২৩ পূর্বাহ্ন

গাজীপুরের চান্দনা এলাকায় হুফ্ফাজুল কুরআন মাদ্রাসার পরিচালকের স্ত্রী ও এক শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। নিহতরা হলেন, হুফ্ফাজুল কুরআন মাদ্রাসার পরিচালক ও শিক্ষক ইব্রাহীম খলিল তালুকদারের স্ত্রী ওই মাদ্রাসার সাবেক শিক্ষিকা মাহমুদা আক্তার স্মৃতি (২১)  ও ওই মাদ্রাসার শিক্ষার্থী  মামুন (৭)।

খবর পেয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার, সিআইডি, পিআইবি ও থানা পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। মাদ্রাসা পরিচালক ইব্রাহীম খলিল তালুকদারকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। মরদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
মাদ্রাসা পরিচালক ইব্রাহীম খলিল তালুকদার জানান, আজ ভোরে ফজর নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে মাদ্রাসার সকল ছাত্রদের নিয়ে পাশের একটি মসজিদে নামাজ পড়তে যান তিনি। নামাজ শেষে মাদ্রায় ফিরে দেখেন, কে বা কারা মাদ্রাসায় প্রবেশ করে পরিচালকের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার স্মৃতি ও নুরানী ক্লাসের এক ছাত্র মামুনকে গলা কেটে ও কুপিয়ে খুন করে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।

মাদ্রাসা পরিচালক ইব্রাহিম পুলিশের কাছে দাবি করেছেন, ভোরে স্ত্রী এবং দুই সন্তান হুযায়ফা (৫) ও আবু হুরায়রাকে (৩) ঘরে রেখে তিনি পাশের মসজিদে ফজরের নামাজ পড়তে যান। তার দাবি, তার পূর্বের স্ত্রীর পরিবারের লোকজন এ খুনের ঘটনার সাথে জড়িত থাকতে পারে।
প্রায় দুই বছর ধরে মাদ্রাসাটি পরিচালনার পাশাপাশি ছাত্রদের কোরআন পড়িয়ে আসছিলেন ইব্রাহিম। ওই মাদ্রাসারই একটি কক্ষে স্ত্রী ও দুই ছেলেকে নিয়ে তিনি থাকেন।  নিহত মামুনের বাড়ি ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার রসুলপুরে। ছুটি কাটিয়ে দুদিন আগে সে মাদ্রাসায় আসে।

জোড়া খুনের ঘটনার খবর পেয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার ওয়াই এম বেলালুর রহমান, ডিসি (ক্রাইম) শফিকুর রহমান, গাজীপুর সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার সুলতান মাহমুদ, বাসন থানা পুলিশের ওসি মুক্তার হোসেন ঘটনাস্থলে যায়। ঘটনাস্থল নিরাপত্তা বেস্টনিতে ঘিরে রাখা হয়। ঘটনাস্থল থেকে একটি ধারালো দা, ধার দেওয়ার কাজে ব্যবহৃত একটি কাঠের খন্ড, বিছানার চাদর, বটি, ভেজা লুঙ্গি ইত্যাদি উদ্ধার করা হয়।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন এলাকার বাসন থানার ওসি মুক্তার হোসেন জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সিআইডির একটি দল হত্যার আলামত সংগ্রহ ও মাদ্রাসা পরিচালককে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। সুরতহাল রিপোর্ট তৈরীর পর নিজ বিছানা থেকে মাহমুদা আক্তার স্মৃতির মরদেহ ও মাহমুদার রুমের সামনের দরজার পাশের ফ্লোর থেকে মামুনের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মাদ্রাসায় থাকা হেফজখানার ১২জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১১জন শিক্ষার্থী মসজিদে নামাজ পড়তে গিয়েছিল। একমাত্র মামুন শারিরিক অসুস্থ থাকায় মাদ্রাসায় শুয়ে ছিল। ধরণা করা হচ্ছে, ওই নারীকে হত্যার সময় মামুন দেখে ফেলায় তাকেও হত্যা করা হয়েছে।
জিএমপি কমিশনার ওয়াই এম বেলালুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তাৎক্ষণিকভাবে জোড়া হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় কারণ জানা যায়নি উল্লেখ করে বলেন, আমরা আশা করছি অচিরেই এই জোড়া হত্যাকাণ্ডের রহস্য জানা যাবে এবং অপরাধীদের সনাক্ত করতে সক্ষম হবো।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর