নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে চলন্ত প্রাইভেটকারের নীচে নিজের স্ত্রীকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে হত্যা করেছে বলে জানা যায়। দাবীকৃত যৌতুকের টাকা না পাওয়ায় এমনটা ঘটানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন নিহত গৃহবধুর পরিবার। গত সোমবার রাতে উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের তারাব পৌরসভার রূপসী এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহতের মা হাসিনা আক্তার জানান, গত একবছর পূর্বে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে তার মেয়ে একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী শিল্পী আক্তার (১৯) এর সঙ্গে পরিচয় হয় একই উপজেলা ও ইউনিয়নের বাবুল মিয়ার ছেলে শাহ আলমের।
এক পর্যায়ে গত ৬ মাস পূর্বে শিল্পীর সঙ্গে শাহআলম কোর্টের মাধ্যমে বিয়ে করে। পরে রূপসী কবরস্থানের পাশে একটি ভাড়া বাড়িতে তারা বাস করতে থাকে। বিয়ের পর শিল্পী জানতে পারে শাহআলম বিবাহিত এবং ৪ সন্তানের জনক। বিয়ের সময় শিল্পীর পরিবারের কাছ থেকে ৭০ হাজার টাকা নিলেও পরবর্তিতে আরও একলাখ টাকা দাবি করে সে। মেয়ের নতুন সংসার টিকিয়ে রাখার জন্য মা হাসিনা ৯০ হাজার টাকা এনজিও থেকে কিস্তি তুলে তাকে দেয়।
গত ১ মাস ধরে শাহআলম আরও একলাখ টাকা যৌতুক নেবার জন্য তার স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার শুরু করে।
গত ১৭ই সেপ্টেম্বর সোমবার সন্ধ্যার দিকে শাহআলম, শিল্পীকে বাড়ি নিয়ে যাবার জন্য তার মা হাসিনাকে ফোন করে ডেকে আনে। সেসময় ব্যাপক বাকবিতন্ডার পর মেয়েকে বাড়ি নিয়ে যাবার পথে রাত ৮ টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের রূপসী স্বর্ণামহল সিনেমার সামনে ক্ষীপ্ত স্বামী শাহআলম স্ত্রী শিল্পীকে ধাক্কা মেরে একটি চলন্ত হায়েস গাড়ির নীচে ফেলে দৌড়ে পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় আহত শিল্পীকে প্রথমে রাজধানীর পঙ্গু ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত সোয়া একটার দিকে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করে।
এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানায় উপ-পরিদর্শক নুরুজ্জামান জানান, ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক। এ ঘটনায় নিহতের মায়ের অভিযোগের প্রেক্ষিতে রূপগঞ্জ থানায় নিয়মিত মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। আশা করি শীঘ্রই ঘাতক শাহআলম পুলিশের হাতে আটক হবে।