× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

‘দায়িত্ব’ এবার তরুণদের

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, বুধবার

তামিম ইকবালের সঙ্গে ওপেন করতে নেমেছিলেন তরুণ লিটন দাস। কিন্তু দুবাইয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ‘০’তেই সাজঘরে ফেরেন তিনি। তরুণ না হলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে দারুণ অভিজ্ঞ এবং বাংলাদেশ দলের নতুন মুখ মোহাম্মদ মিঠুন দায়িত্ব নিয়েই খেলেছেন। মুশফিকুর রহীমের সঙ্গে ১৩১ রানের জুটি গড়ে উঠেছিল তার ৬৩ রানের দায়িত্বশীল ইনিংসে। তার বিদায়ের পর দায়িত্ব পালনের সুযোগ পেয়েছিলেন আরো দুই তরুণ সদস্য মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও মেহেদী হাসান মিরাজ। কিন্তু সৈকত ভরসা হতে পারেননি। মিরাজ ব্যাট হাতে খুব বেশি রান করতে না পারলেও বল হাতে দুই উইকেট নেন। প্রথম ম্যাচে তরুণদের কাছে আহামরি কিছু না পেয়ে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মূর্তজা বলেছিলেন সিনিয়রদের চাপ কমাতে জুনিয়রদের এগিয়ে আসার দরকার।
আগামীকাল আফগানিস্তানের বিপক্ষে টাইগারদের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ। এ ম্যাচে জিতলে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে এগিয়ে যাবে এশিয়া কাপের শিরোপার দিকে। দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত তবে আফগানদের বিপক্ষে জিতলে বাড়বে দলের আত্মবিশ্বাস। কিন্তু এ ম্যাচে নেই তামিম। মুশফিক ও সাকিব ইনজুরিতে তাই তরুণ যারা দলে আছেন ও আসবেন তাদেরই এখন দায়িত্ব নিতে হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে হাতে আঘাত পান তামিম। বল লেগে তার হাতের আঙুলে চিড় ধরেছে। গতকালই তিনি দেশে ফিরে এসেছেন। তার পরিবর্তে দলে ওপেনিংয়ে জায়গা মিলতে পারে মুমিনুল হক সৌরভের। তবে এ গুঞ্জন ছাপিয়ে শোনা যাচ্ছে নাজমুল হোসেন শান্তর অভিষেকের কথা। শান্ত দলের তরুণ সদস্য হলেও তার মেধা ও পরিশ্রমে দারুণ খুশি নয়া কোচ স্টিভ রোডস। আর তামিম না থাকায় বাঁহাতি, ডানহাতি কম্বিনেশন ঠিক রাখতে শান্তর বিকল্পও নেই। তাই ওপেনিংয়ে শান্তর অভিষেক হলে দুই তরুণের হাতেই থাকবে ভালো শুরুর দায়িত্ব। কিন্তু শেষ ১৩ ম্যাচে লিটন করেছেন মাত্র ১৬৯ রান। এখনো ওয়ানডেতে তিনি খুঁজে পাননি ছন্দ। আর অভিষেক ম্যাচে শান্ত কতটা ভরসা হবে সেটিও বড় বিষয়। এছাড়াও দেশ ছাড়ার আগে তিনিও পেয়েছিলেন আঙুলে চোট। তাই শেষ বিবেচনায় মুমিনুলকে সুযোগ দিতে পারে টিম ম্যানেজমেন্ট তার অভিজ্ঞতার জন্য। যদিও মুমিনুল সর্বশেষ ওয়ানডে খেলেছেন ২০১৫-তে। এছাড়াও মোসাদ্দেক হোসেনের পরিবর্তে সুযোগ আসতে পারে আরিফুল হকেরও। তাই আগামীকাল দু’টি ওয়ানডে অভিষেক হতে পারে টাইগার শিবিরে।
এছাড়াও মুশফিক ও সাকিব ইনজুরিতে। তাদের যে কোনো একজনকে বিশ্রামে রাখতে পারে টিম ম্যানেজমেন্ট। ঝুঁকি না নিয়ে সুযোগ তরুণ ও নতুনদের যাচাই করে নেয়ার। কারণ এখন আর সুপার ফোরে যাওয়ার দুশ্চিন্তা নেই। তবে আফগানদের বিপক্ষে অনভিজ্ঞ দল নিয়ে ঝুঁকি নিতেও চাইছে না অনেকে। সে কারণে মুশফিক বা সাকিবের যে কোনো একজন না খেললে মুমিনুলকেও মিডল অর্ডারে শক্তি হিসেবে ফিরিয়ে আনা হতে পারে বলেই জানা গেছে।
মূলত দলের এমন অবস্থাতে সিনিয়রদের মধ্যে মূল দায়িত্ব সামলাতে হবে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মূর্তজাকেই। এছাড়াও আছেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। সাকিব বা মুশফিক যেই খেলুক তাদের উপর একেবারেই নির্ভর করা যাবে না। এ কারণেই প্রথম ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে তরুণদের কাছে পারফরমেন্স আশা করেছেন অধিনায়ক নিজেই। তিনি এটি তাদের জন্য সুযোগও মনে করেন।  মাশরাফি বলেছিলেন, ‘বাকি ম্যাচগুলোয় মিঠুনের মতো কেউ যদি এগিয়ে আসে, তাহলে দল হিসেবে আমাদের জন্য ভালো হবে। তামিম যদি খেলতে না পারে, তাহলে স্কোয়াডে অন্য যারা তরুণ আছে, তাদের জন্য খুব ভালো সুযোগ এটি।’ এবার দেখার বিষয় এই সুযোগ কে কতটা কাজে লাগিয়ে নিজেদের প্রমাণ করতে পারে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর