× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নড়িয়ার ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন ত্রাণমন্ত্রীর

দেশ বিদেশ

শরীয়তপুর প্রতিনিধি
১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, বুধবার

নড়িয়ার ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করলেন দুর্যোগব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। গতকাল  নড়িয়া শহীদ মিনার চত্বরে ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন। এ সময় তিনি বলেন, নড়িয়ার ভাঙন কবলিত একটি পরিবারও খাদ্য ও বাসস্থানের কষ্ট পাবে না। দুর্গত মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকার। ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের খাদ্য সহায়তার জন্য চাল, নগদ অর্থ ও পুনর্বাসনের জন্য ঢেউটিন দেয়া হচ্ছে। তিনি ভাঙন কবলিত মুলফৎগঞ্জ বাজার ও নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স ঘুরে দেখেন। এরপর দুপুর ২টার দিকে নড়িয়া উপজেলা শহীদ মিনার চত্বরে ভাঙনে গৃহহীন পরিবারের সদস্যদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন। ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন সহায়তা করার জন্য ৫ হাজার বান্ডিল টিন ও প্রত্যেক বান্ডিল টিনের সঙ্গে তিন হাজার করে টাকা দেয়ার ঘোষণা দেন।
এ ছারা ক্ষতিগ্রস্ত ৫ হাজার ৮০ পরিবারকে চার মাস পর্যন্ত খাদ্য সহায়তা হিসেবে প্রত্যেক মাসে ৩০ কেজি করে চাল ও ৪ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার, নগদ ৫০ লাখ টাকা দেয়ার   ঘোষণা দেয়া হয়। জাজিরার নদীভাঙন কবলিতদের দুইশ’ বান্ডিল টিন, ৬০ লাখ টাকা ও একশ’ মেট্রিক টন চাল দেয়ার ঘোষলা দেন মন্ত্রী। ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন- জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শরীয়তপুর ২ আসনের সাংসদ শওকত আলী, শরীয়তপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য বিএম মোজাম্মেল হক, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম, মহিলা সংসদ সদস্য নাভানা আক্তার, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহ কামাল, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু সৈয়দ মোহাম্মদ হাশিম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেদুর রহমান খোকা সিকদার, সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে প্রমুখ। নড়িয়ার  পদ্মার ভাঙন স্থবির অবস্থায় রয়েছে। মঙ্গলবার কোনো পরিবার গৃহহীন হয়নি। কিন্তু ভাঙন আতঙ্কে নদীর তীর থেকে মালামাল সরিয়ে নিচ্ছেন মানুষ। নড়িয়া পৌরসভার শুভগ্রাম, বাঁশতলা, পূর্বনড়িয়া ও উত্তর কেদারপুর গ্রামের ২৫টি পরিবার তাদের বসত বাড়ির মালামাল সরিয়ে নিয়েছেন। ভাঙন রোধে চর খননের উদ্যাগ নেয়া হলেও মঙ্গলবার পর্যন্ত খনন কাজ শুরু করা হয়নি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর