× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নাশকতার আশঙ্কায় রেলের নিরাপত্তায় ৩০০০ আনসার

শেষের পাতা

আল-আমিন
১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, বুধবার

সম্ভাব্য নাশকতার আশঙ্কায় গুরুত্বপূর্ণ রেললাইনে বাড়তি নিরাপত্তার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে পুলিশ। ঢাকা থেকে রাজশাহী এবং ঢাকা থেকে চটগ্রামের রেললাইনের প্রতি ৩ কিলোমিটারে ১ জন করে আনসার ও ভিডিপির সদস্যকে ৩ মাসের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এ ছাড়াও রেলের নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনীও সেখানে কাজ করবে। তিন শিফটে ২৪ ঘণ্টা পালাক্রমে তারা দায়িত্ব পালন করবেন। বিশেষ করে রাতে যেন কোনো ধরনের সহিংসতা না ঘটে সেই দিকে তীক্ষ্ণ নজর রাখা হবে। প্রত্যেক আনসার সদস্যদের দেয়া হবে ঝলমলে আলোর বড় টর্চ লাইট। লাইনের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আনসার সদস্যদের দেয়া হবে ওয়াকিটকি। তারা ওয়াকিটকি দিয়ে কমলাপুর রেলস্টেশনে স্থাপিত হেল্প ডেক্সের সঙ্গে সমন্বয় করবেন।
সহিংসতার খবর পাওয়া মাত্রই যাতে ঘটনাস্থলে আনসার সদস্যরা দ্রুত যেতে পারে এজন্য প্রত্যেক বড় বড় স্টেশনে ১০ জনকে বহন করতে সক্ষম ছোট টানা রেলগাড়ি প্রস্তুত রাখা হবে। রেলভ্রমণ নিরাপদ ও যাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। গত ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনের আগে একাধিক ট্রেনে অগ্নিসংযোগ করেছিল দুর্বৃত্তরা। ২০১৩ সালের অবরোধের প্রথম দুই সপ্তাহেই সারা দেশে রেলপথে ৩১৮টি নাশকতার ঘটনা ঘটে। কমলাপুরে চট্টলা এক্সপ্রেসে দুর্বৃত্তরা আগুন দিয়েছিল। এতে অনেক যাত্রী আহত হয়েছিলেন।

রেলওয়ে পুলিশের এডিশনাল ডিআইজি মো. মোর্শেদ আলম মানবজমিনকে জানান, আগের নির্বাচনে দুর্বৃত্তরা রেললাইন ও ট্রেনকে ঘিরে সহিংসতা চালিয়েছে। গতবার ঢাকাসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ রেললাইনে আনসার নিয়োগ করা হয়েছিল। তিনি জানান, সামনে আবার নির্বাচন। আমরা আগে থেকেই সতর্ক রয়েছি। এবার আনসারের সংখ্যা আরো বাড়ানো হবে। আগে ১৫০০ আনসার সদস্য নিয়োজিত ছিল। এবার ৩ হাজার আনসার সদস্য নিয়োজিত থাকবেন।   
রেলওয়ে পুলিশের সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দেশের আগের নির্বাচনগুলোতে রেললাইন অবরোধের ঘটনা ঘটতো। কিন্তু, গত ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনের আগে দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। ট্রেনে আগুন দেয়া, ফিশপ্লেট খুলে ফেলা, লাইন উপড়ে ফেলাসহ নানারকম ঘটনা ঘটেছিল।

সূত্র জানায়, রেললাইনের নিরাপত্তা বিধানে সারা দেশের ১ হাজার ৪১টি পয়েন্ট নির্ধারণ করা হয়েছে। এইসব এলাকা দিয়ে দুর্বৃত্তরা আগে দুর্ঘটনা ঘটিয়েছে। সেখান দিয়ে দ্রুত পালিয়ে গেছে। ওইসব এলাকায় জনবসতি কম। অথবা মানুষের চলাচল কম। দুর্বৃত্তরা যাতে সেখান থেকে দ্রুত চলে যেতে না পারে সেজন্য আনসার সদস্যরা সেখানে আরো নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করবে। সূত্র জানায়, ট্রেন লাইনের পাশাপাশি ট্রেনের মধ্যেও আনসার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। এ ছাড়াও সহিংসতা রোধে রেলের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, স্টেশন, প্লাটফরম, লোকো ইয়ার্ড, ক্যারেজ ডিপো ও বগিভিত্তিক আলাদা আলাদা নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে। রেলওয়ে পুলিশ জানান, ট্রেনের মধ্যে অনেক যাত্রী ওঠে। অল্প পুলিশের সদস্য থাকায় যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায় না।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর