× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আশুলিয়ায় চালককে পিটিয়ে হত্যা

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, সাভার থেকে
১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, বুধবার

আশুলিয়ায় একটি দোকানের সামনে গাড়ি রাখাকে কেন্দ্র করে এক চালককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে দোকান মালিকের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকে দোকান বন্ধ রেখে মালিক পলাতক রয়েছে। হত্যাকারীকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। গতকাল সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের নবীনগরের পাশে নিরিবিলি বাসস্ট্যান্ড এলাকার মেসার্স জুয়েল স্টিল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম আসলাম পাঠান (৪৫)। তিনি মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর থানার বাড়ইখালী খোরা কলেজ এলাকার মো. রশিদ পাঠানের ছেলে। প্রত্যক্ষদর্শী ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকালে দোকানের সামনে গাড়ি রাখাকে কেন্দ্র করে মেসার্স জুয়েল স্টিল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের মালিক জাকির হোসেন জুয়েলের সঙ্গে হিউম্যান হলারের মালিক আসলামের কথা কাটাকাটি হয়। এসময় জুয়েল ও তার ভাই রুবেল আসলামকে দোকানের ভেতর ধরে নিয়ে লোহার রড ও অ্যাঙ্গেল দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে মারতে থাকে।
একপর্যায়ে আসলাম মাটিতে লুটিয়ে পড়লে কোনো সাড়া শব্দ না করায় একটি ভ্যানে করে পার্শ্ববর্তী গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। সেখানে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক আসলামকে মৃত ঘোষণা করেন। নিরিবিলি এলাকার চায়ের দোকানি রুহুল আমিন অভিযোগ করেন, জুয়েল এবং তার ভাই রুবেল টাকার গরমে এলাকায় বেপরোয়াভাবে চলাফেরা করে। এর আগেও তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কয়েজন লোককে ধরে নিয়ে দোকানের ভেতরে মারধর করেছে। নিহতের ভাই সোহেল পাঠান বলেন, চার-পাঁচ দিন আগে আমার ভাই নিরিবিলি বাসস্ট্যান্ডের মেসার্স জুয়েল স্টিল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের সামনে গাড়ি রেখেছিল। এ ঘটনায় দোকান মালিক জুয়েল গাড়ি সরাতে বললে আমার ভাই গাড়িটি সরিয়ে দেয়। কিন্তু আজকে সকালে হঠাৎ করে আমার ভাইকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে দোকান মালিক জাকির হোসেন জুয়েল ও তার ভাই রুবেল লোহার রড এবং অ্যাঙ্গেল দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে পিটিয়ে হত্যা করে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই। আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বিজন কুমার দাস বলেন, পিটিয়ে হত্যার খবর শুনে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের পর থেকে দোকান মালিক পলাতক থাকায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে এ ঘটনায় মামলার পর হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারে অভিযান পরিচালনা করা হবে বলেও জানান তিনি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর