× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

জাতিসংঘ অধিবেশন শুরু /যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী, গুরুত্ব পাবে রোহিঙ্গা ইস্যু

শেষের পাতা

কূটনৈতিক রিপোর্টার
১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, বুধবার

শুরু হয়েছে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৩তম অধিবেশন। পূর্বনির্ধারিত সূচি মতে, সেপ্টেম্বরের তৃতীয় মঙ্গলবার এ অধিবেশনের সূচনা হয়। সে হিসাবে গতকাল থেকে এর সূচনা হয়েছে। আগামী ২৫শে সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার থেকে শুরু হবে উচ্চপর্যায়ের সভা। সেখানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প থেকে শুরু করে অধিবেশনে যোগ দেয়া বিভিন্ন দেশের প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী বা তার প্রতিনিধিরা বক্তৃতা করবেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

অধিবেশনে যোগ দিতে কাল তিনি লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়ে যাচ্ছেন। বৃটেনে এক রাত কাটিয়ে ২২শে সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্র পৌঁছাবেন। ঢাকা ও নিউ ইয়র্কের কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে- এবারের অধিবেশনে বিশ্ব রাজনীতির বিভিন্ন ইস্যু থাকলেও সেখানে রোহিঙ্গা ইস্যুটি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাবে।
অধিবেশনে দেয়া বিশ্বনেতাদের বক্তৃতা ছাড়াও সাইড লাইনে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনা, বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। সূত্র মতে, রোহিঙ্গা সংকটে ভুক্তভোগী বাংলাদেশের তরফে খোদ প্রধানমন্ত্রী ইস্যুটির টেকসই সমাধানে বিশ্বনেতাদের সহায়তা চাইবেন। আগামী ২৭শে সেপ্টেম্বর রাতে প্রধানমন্ত্রী অধিবেশনে বক্তৃতা করবেন। স্থানীয় সময় রাতে হবে সেই বক্তৃতা।

সেখানে বাস্তুচ্যুত ১১ লাখ রোহিঙ্গাদের জীবন-মান রক্ষায় বাংলাদেশ যেসব উদ্যোগ নিয়েছে এ বিষয়েও বিশ্ববাসীকে নতুন করে জানানোর চেষ্টা করবেন তিনি। বর্মী বর্বরতায় প্রাণে বাঁচতে সীমান্ত পাড়ি দেয়া বিশ্বের সবচেয়ে নিপীড়িত রোহিঙ্গাদের  সম্প্রদায়ের জন্য বাংলাদেশ কেবল সীমান্তই খুলে দেয়নি, হৃদয়ও উন্মুক্ত করেছে। যা বিশ্বদরবারে বাংলাদেশকে উচ্চ আসনে নিয়ে গেছে। সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, গতবারের ধারাবাহিকতায় এবারও জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তৃতায় রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনে জোর থাকছে।

বাংলাদেশের সরকার প্রধান কেবল অধিবেশনে বক্তৃতাই নয়, সাইড লাইনে এ নিয়ে বিশ্বনেতাদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক এবং অনানুষ্ঠানিক মতবিনিময় করবেন। এস্তানিয়ার প্রেসিডেন্ট কেরসতি কালজুলাইড ও ডাচ প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুত্তের সঙ্গে শেখ হাসিনার আনুষ্ঠানিক বৈঠক হবে। জাতিসংঘের অধীন বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা বাংলাদেশের সরকার প্রধানের সঙ্গে দেখা করবেন। তার অ্যাপয়েন্টমেন্টগুলো প্রায় চূড়ান্ত। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন সাইড ইভেন্টে অংশ নেবেন এবং বক্তৃতা করবেন।

জাতিসংঘ অধিবেশ অংশ নিতে যাওয়া বিশ্বনেতাদের সম্মানে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প যে ওয়েলকাম রিসিপশনের আয়োজন করছেন তাতে শেখ হাসিনাও আমন্ত্রণ পেয়েছেন এবং যোগ দিচ্ছেন। ওই অনুষ্ঠানের কাছাকাছি সময়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। স্থানীয় সূত্রগুলো বলছে, বরাবরের মতো প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে নিউইয়র্কে থাকা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অ্যামেরিকানরা একটি সংবর্ধনার আয়োজন করছেন। দোড়গোড়ায় থাকা বাংলাদেশের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে এবারের ওই পাবলিক ফাংশনটিও গুরুত্বপূর্ণ। প্রধানমন্ত্রী ৬ দিনের এবারের যুক্তরাষ্ট্র সফরের প্রথম দিনেই হবে সেটি। সে মতেই সব প্রস্তুতি চূড়ান্ত হয়েছে। আগামী ২৯শে অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর