শাহেদ ও বেলাল। দুই জনই মাদক সেবক ও ব্যাবসায়ী। শাহেদের সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল নিজ বাসার গৃহকর্মী জরিনার। এই অবৈধ সম্পর্কের প্রসঙ্গ তুলতেই বেলালের সঙ্গে শুরু হয় বাক বিতন্ডা। একপর্যায়ে শাহেদ ক্ষিপ্ত হয়ে ধারালো চাপাতি দিয়ে হেলালকে আঘাত করে এবং উপর্যপুরী লোহার রড দিয়ে তার পেট ও বুকে আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই হেলালের মৃত্যু হয়। পরে সন্ধার সময় লাশ দুই খন্ড করে ড্রামের ভিতরে ভরে রিকশা চালক মিন্টুর রিকশায় পৌর এলাকার খিলপাড়া সেতুর কাছে ফেলে দেওয়ার সময় ইউপি সদস্য মো. সুমন দেখে ফেলে। সুমন পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ সেখান থেকে লাশ উদ্ধার করে এবং শাহেদের বাসা থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত চাপাতি ও লোহার রডসহ হত্যাকারীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
এ বিষয়ে ঘাটাইল থানার অফিসার্স ইনচার্জ মাকছুদুল আলম আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথার স্বীকার করেছে শাহেদ।
নিহত হেলালের স্ত্রী বাদী হয়ে শাহেদ ও মিন্টুকে আসামি করে ঘাটাইল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
গতকাল মঙ্গলবার ঘাটাইল পৌর এলাকার খিলপাড়া সেতুর নিচ থেকে হেলাল উদ্দিন (৩০) নামে এক যুবকের দ্বি-খন্ডিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে পৌরসভার উত্তর পাড়া এলাকার সোনালী ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মালেক ম্যানেজারের ছেলে মো. শাহেদ (২৫) এবং রিকশা চালক মিন্টু (২৪) কেও আটক করেছে পুলিশ।
নিহত হেলাল পাশ্ববর্তী গোপালপুর উপজেলার ডুবাইল গ্রামের গাজি শেখের ছেলে। নিহত হেলাল ঘাটাইল পৌরসভার চান্দশি গ্রামের আব্দুল বাছেদ মিয়ার মেয়ে বিয়ে করে ঘর জামাই হিসেবে থাকতেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথার স্বীকার করেছে শাহেদ। নিহত হেলালের স্ত্রী বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতেই শাহেদ ও মিন্টুকে আসামি করে ঘাটাইল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।