বিজয়নগরের মোল্লারটেক থেকে ভিজিডি কর্মসূচির ২৩ বস্তা চাল উদ্ধার করেছে পুলিশ। উদ্ধারকৃত চাল স্থানীয় দুই ইউপি সদস্যের জিম্মায় রাখা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া চাল ইছাপুরা ইউনিয়ন পরিষদের বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করেছেন। মঙ্গলবার বিকালে চম্পকনগর ইউনিয়নের মোল্লারটেক নামক স্থান থেকে চালভর্তি অটোটি আটক করা হয়। পরে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদে নিশ্চিত হয় এই চাল ইছাপুরা ইউনিয়ন পরিষদের। ইউনিয়ন পরিষদের উল্টো দিকে আড়িয়ল বাজারের সাধনের মুদি দোকানে পরিষদের এসব চাল মজুদ ছিল। সেখান থেকে বস্তার বস্তা চাল অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে স্থানীয় লোকজন জানান।
অটোরিকশা ভর্তি চাল ধরা পড়ার কিছু সময় আগে এক পিকআপ ভ্যান চাল নিয়ে যাওয়া হয়। এই চালগুলো ইছাপুরা ইউনিয়নের ৯৫ জন ভিজিডি সুবিধাভোগীর বলে ধারণা করা হচ্ছে। জানা গেছে, চম্পকনগরের চাল ব্যবসায়ী কবিরের দোকানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল এই চাল। কবির ছাড়াও বিজয়নগর উপজেলায় বিভিন্ন সুবিধাভোগীদের মধ্যে বিতরণের জন্য বরাদ্দ করা সরকারি চাল চম্পকনগরের দুলাল, জাকির, সাদির ও আড়িয়লের সাধন কেনাবেচা করেন। তারা বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের কাছ থেকে সরকারি চাল ক্রয় করে পরে বিক্রি করেন। এ ব্যাপারে ইছাপুরা ইউনিয়নের লোকজনের পক্ষ থেকে ফরিদ আহমদ নামের একজন দুর্নীতি দমন কমিশনে গতকাল চেয়ারম্যান জিয়াউল হক বকুলের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দিয়েছেন। তবে ইছাপুরা ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউল হক বকুল বলেন-আমি নিয়মতান্ত্রিকভাবে চাল বিতরণ করেছি। সুবিধাভোগী কেউ চাল বাইরে নিয়ে বিক্রি করলে আমি কী করতে পারি। আমার পরিষদের ভেতরে কোনো চাল বেচাকেনা হয়নি। এদিকে এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলী আফরোজ ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করেছেন। এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি বা কেউ আটক হয়নি।