পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মেয়াদ আরো ১০ বছর বাড়িয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। কমিশনের ৬৫৭তম সভায় নতুন করে এই ফান্ডগুলোর মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে টানা চার কার্যদিবস দরপতনের পর গত মঙ্গলবার থেকে দেশের শেয়ারবাজার ঊর্ধ্বমুখী। উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে বেড়েছে মূল্য সূচক এবং সেই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণও।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত দুদিনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক সূচক যথাক্রমে ২৮.৭৯ ও ৩২.৪৫ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়ে ৫৫০৫.০৫ পয়েন্টে এসে দাঁড়িয়েছে। বুধবার ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৮২৪ কোটি ৭১ লাখ টাকা। সিএসইর সার্বিক সূচক যথাক্রমে ২.৬৩ ও ৬.২২ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়ে ১২২২.৭৩ পয়েন্টে এসে দাঁড়িয়েছে। গতকাল সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৩১ কোটি ৬৩ লাখ টাকা।
বিশ্লেষকরা বলছেন, টানা দরপতনের মধ্য থেকে শেয়ারবাজারকে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় ফেরাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোর মেয়াদ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত।
বিশ্লেষণে দেখা যায়, বাজারের কয়েকটি মিউচ্যুয়াল ফান্ডে প্রায় ১৫০০ কোটি টাকার ব্যাংকের শেয়ার রয়েছে। ফান্ডগুলোর মেয়াদ বৃদ্ধির কারণে এখন আর এসব ব্যাংকের শেয়ার বিক্রির চাপ আসবে না। ফলে বিনিয়োগকারীরা আবারও আস্থার সঙ্গে বিনিয়োগ শুরু করেছে।
বিনিয়োগকারী হানিফ জানায়, আমরা বিনিয়োগকারীরা অনেক দিন ধরে মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোর পোর্টফোলিওর শেয়ার বিক্রির কথা শুনে আসছি। এত বড় অঙ্কের শেয়ার বিক্রি হওয়ার শঙ্কায় অনেকেই শেয়ার বিক্রি করেছিল এবং শেয়ার কেনা থেকে বিরত ছিল।
কমিশন জানিয়েছে, ২০১০ সালের ২৪শে জানুয়ারি জারি করা শর্তাবলী বিদ্যমান তালিকাভুক্ত মিউচ্যুয়াল ফান্ডের জন্য রহিত থাকবে। শর্তে উল্লেখ ছিল কোনো মেয়াদি ফান্ডের মেয়াদ ১০ বছরের বেশি হতে পারবে না।