× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

কেরানীগঞ্জের চাঞ্চল্যকর পিতা-পুত্র হত্যায় ৫ আসামির মৃত্যুদণ্ড

বাংলারজমিন

কোর্ট রিপোর্টার
২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮, বৃহস্পতিবার

কেরানীগঞ্জের চাঞ্চল্যকর পিতা-পুত্র হত্যা মামলার রায়ে ৫ আসামিকে ডাবল মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। ঢাকার ৭ম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. বজলুর রহমান গতকাল জনাকীর্ণ আদালতে আলোচিত এ হত্যা মামলার পুনঃবিচারের রায় প্রদান করেন। এ রায়ে ওই জোড়া খুনের ঘটনার দীর্ঘ পঁচিশ বছর পর ৫ জন আসামির বিরুদ্ধে করা মামলায় বিচারিক আদালতের বিচার সমাপ্ত হলো। ব্যবসায়ী শরীফ ও তাঁর পুত্র খোকন হত্যা মামলায় পূর্বের রায়েও ৫ আসামিকে ডাবল মৃত্যদণ্ডের রায় হয়েছিল। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৫ আসামির মধ্যে সফিকুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম নজু, মিস্টার ওরফে ছোট মিস্টার কারাগারে রয়েছেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামি মো. আরিফ ও মো. মাসুদ জামিনে গিয়ে পলাতক রয়েছে। আসামি নজু ও সফিকুল সহোদর। গতকাল রায়ের সময় তিন আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।
এ ছাড়া পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে দ্রুত রায় কার্যকরের দাবি জানান ভিকটিম শরীফের বড় ছেলে আব্দুল গাফফার। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন পরে হলেও আমরা ন্যায়বিচার পেয়েছি।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ১৯৯৩ সালের ১৩ই জুলাই রাতে কেরানীগঞ্জের মালোপাড়া বরিশুর বাজার এলাকার একটি দোকানে বাকিতে সিগারেট ও অন্যান্য মালামাল না দেয়ায় ব্যবসায়ী শরীফ ও তাঁর দুই শিশু পুত্র খোকন (৯) ও শাহজা?হানকে (১২) কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে আসামিরা। এতে ঘটনাস্থলে শরীফ ও তার শিশু পুত্র খোকন মারা যায়। এ ঘটনায় শরীফের অন্য ছেলে আব্দুর রহিম বাদী হয়ে মামলা করেন। এ মামলায় ২০০৪ সালের ২১শে জুলাই ঢাকার তৎকালীন ৫ম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. কামরুল হোসেন মোল্লা (বর্তমানে হাইকোর্টের বিচারপতি) ১৮ জন সাক্ষির সাক্ষ্যগ্রহণ করে আসামিদের ডাবল মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন। পরে আসামিরা উচ্চ আদালতে আপিল করে। শুনানি নিয়ে উচ্চ আদালত বিচারিক আদালতকে আসামিদের পক্ষে পৃথক স্টেট ডিফেন্স নিয়োগ করে পুনঃবিচারের নির্দেশ দেন। পরে আসামিদের পক্ষে পৃথক স্টেট ডিফেন্স সাক্ষিদের জেরা করেন। উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক গ্রহণ শেষে মামলাটি আবারো রায়ের পর্যায়ে আসে।  
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর