রাজধানীর মিরপুরে পুলিশ স্টাফ কলেজের পাশে গড়ে ওঠা বিশ্বমানের আবাসন বিজয় রাকিন সিটির বাণিজ্যিক ভবনের ফ্লোর ক্রেতাদের মাঝে হস্তান্তর কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। গতকাল বিজয় রাকিন সিটির নিজস্ব কার্যালয়ে প্রত্যেক ক্রেতার কাছে প্রতীকী চাবি তুলে দেন রাকিন ডেভেলপমেন্ট (বিডি) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এসএকে একরামুজ্জামান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কোম্পানির সিওও লে. কর্নেল (অব.) একেএম জহুরুল ইসলাম, প্রকৌশল বিভাগের জ্যেষ্ঠ মহাব্যবস্থাপক ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, মহাব্যবস্থাপক এসএম শাকিল ও সিএফও গিরিশ কুমার। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বিজয় রাকিন সিটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রিয়েল স্টেট প্রজেক্ট। প্রকল্পের আয়তন হচ্ছে ৫০ বিঘা। সুবিশাল এই এলাকায় আবাসিক ভবনের সংখ্যা হবে ৩৬টি। এতে রয়েছে বিশ্বমানের ১৯৫০টি অ্যাপার্টমেন্ট। এর কাজ প্রায় শেষের দিকে।
১২ তলাবিশিষ্ট বাণিজ্যিক ভবনটির প্রতি ফ্লোরে রয়েছে ৮৫০০ বর্গফুট জায়গা। এটি একটি পরিপূর্ণ নগরী। এখানে থাকছে কমিউনিটি মসজিদ, সুপার মার্কেট, ব্যাংক, ৪টি খেলার মাঠ, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত সুইমিং পুল, সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ ব্যবস্থা, সর্বাধুনিক সোলার সিস্টেম। ব্যবস্থাপনা পরিচালক এসএকে একরামুজ্জামান বলেন, রাকিন শব্দটি আরবি ভাষার। এর অর্থ হলো মূল স্তম্ভ। রাকিন সততা ও গুণগত মানের স্তম্ভ হিসেবে পরিচিত পেয়েছে। এই কোম্পানির ওপর আস্থা রাখায় ক্রেতাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি। কোম্পানির বেশ কিছু সফলতা তুলে ধরে তিনি বলেন, বিজয় রাকিন সিটি দেশের একমাত্র মুক্তিযোদ্ধাদের আবাসন এলাকা। আগামী মাসেই ক্রেতাদের মাঝে ফ্ল্যাট বুঝিয়ে দেয়া হবে। আশা করছি প্রধানমন্ত্রী সময় দিলে তাকে দিয়েই এই প্রকল্পের শুভ উদ্বোধন করা হতে পারে। তিনি বলেন, কাচপুর ব্রিজের কাছে অবস্থিত আমাদের আবাসন প্রকল্পও খুব শিগগিরই উদ্বোধন করা হবে। অনুষ্ঠান শেষে বিজয় রাকিন সিটির বাণিজ্যিক ভবনের প্রতীকী চাবি ক্রেতাদের হাতে তুলে দেন।