× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

এক শতাংশ প্রতিবন্ধী কোটা বহাল রাখার সুপারিশ

দেশ বিদেশ

সংসদ রিপোর্টার
২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮, বৃহস্পতিবার

সরকারি চাকরিতে প্রবেশে প্রতিবন্ধীদের এক শতাংশ কোটা বহাল রাখার সুপারিশ করেছে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। প্রতিবন্ধী আইনে দেয়া সুবিধার প্রতিফলন ঘটাতে ওই কোটা সংরক্ষণ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছে।

গতকাল সংসদ সচিবালয়ে কমিটির বৈঠকে এই সুপারিশ করা হয়। কমিটির সভাপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, মনোরঞ্জন শীল গোপাল, মো. হাবিবে মিল্লাত, শেখ হাফিজুর রহমান, আবদুুল মতিন, লুৎফা তাহের ও সৈয়দা সায়রা মহসীন এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, সরকারি চাকরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদে (৯ম ও ১০ম গ্রেড) কোনো ধরনের কোটা না রেখে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের নিয়ম চালু করতে সরকার গঠিত কমিটির সুপারিশ প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাওয়ার একদিনের মাথায় সংসদীয় কমিটি ওই সুপারিশ করেছে।

এর আগে কোটা সংস্কারের দাবিতে ছাত্রদের ব্যাপক আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা তুলে দেয়ার ঘোষণা দেন। বৈঠক শেষে কমিটির সদস্য ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন সাংবদিকদের বলেন, আইনে প্রতিবন্ধীদের সুরক্ষায় চাকরিতে বিশেষ সুবিধা দেয়ার কথা রয়েছে। আইন সংশোধন না করে কোটা বাতিল করা যাবে না। প্রতিবন্ধী সুরক্ষা আইন সংশোধন না করে কোটা বাতিল করলে আইনের সঙ্গে সংঘাতপূর্ণ হবে।


তিনি বলেন,  বর্তমানে সরকারি চাকরিতে নিয়োগে ৫৬ শতাংশ পদ বিভিন্ন কোটার জন্য সংরক্ষিত। এরমধ্যে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৩০ শতাংশ ও নারীদের জন্য ১০ শতাংশ কোটা রয়েছে। এছাড়া ১০ শতাংশ জেলা, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ৫ শতাংশ ও এক শতাংশ প্রতিবন্ধী কোটা রয়েছে। বৈঠকে জানানো হয়, বর্তমানে বাংলাদেশে হিজড়ার সংখ্যা প্রায় ১১ হাজার। কমিটি স্বল্পসংখ্যক এ সকল হিজড়াকে সমাজের মূলধারায় সম্পৃক্ত করতে শিশু হিজড়াদের উপযুক্ত শিক্ষা প্রদান, যুবা হিজড়াদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, প্রশিক্ষণোত্তর আর্থিক সহায়তা প্রদান, প্রবীণ হিজড়াদের বিশেষ ভাতা প্রদানের ব্যবস্থা করা এবং পৈতৃক সম্পত্তির ন্যায্য হিস্যা পাওয়ার পথকে সুগম করতে মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা  গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।

বৈঠকে গাজীপুরে অবস্থিত নারী, শিশু ও কিশোরীদের নিরাপদ আবাসন কেন্দ্র (সেফ হোম) এর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করা হয়। আলোচনা শেষে সেফ হোমের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো জোরদার করার পাশাপাশি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে মনিটরিং কার্যক্রম অব্যাহত রাখার সুপারিশ করা হয়।

এছাড়া সমতল ভূমিতে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ- গোষ্ঠী জনগণের জীবনমান উন্নয়নে উদ্যোগ গ্রহণের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করা হয়।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর