× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ঝালকাঠির সেই নারী পেলেন স্ত্রীর মর্যাদা

বাংলারজমিন

ঝালকাঠি প্রতিনিধি
২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮, বৃহস্পতিবার

অবশেষে কাঠালিয়া উপজেলা মৌলিক সাক্ষরতা প্রকল্প (৬৪ জেলা) প্রোগ্রাম অফিসার মো. সরোয়ার হোসেনের স্ত্রীর মর্যাদা পেলেন নির্যাতিত সেই নারী। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের শিকার ওই নারীকে সোমবার বিকেলে সরোয়ারের সঙ্গে বিয়ে পড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এদিকে নারী কেলেঙ্কারির ঘটনায় সরোয়ার হোসেনকে কাঠালিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মঙ্গলবারের মধ্যে সরকারি ডাকবাংলো ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন এবং সরকারি কোন অনুষ্ঠানে যোগদানেও নিষেধ করা হয়েছে।
জানা যায়, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর অধীনে মৌলিক সাক্ষরতা (৬৪ জেলা) কর্মসূচির প্রোগ্রাম অফিসার মো. সরোয়ার হোসেন এক বছর ধরে কাঠালিয়া উপজেলা পরিষদ ডাকবাংলোর একটি কক্ষে বসবাস করে আসছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে উপজেলার দক্ষিণ চেঁচরী গ্রামের জনৈক মোস্তফার মেয়ের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গত ৩ মাস যাবৎ প্রতি শুক্র ও শনিবার বন্ধের দিনে ডাকবাংলোসহ একাধিক স্থানে ওই মেয়েটিকে ধর্ষণ করে সরোয়ার। পরে বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করলে সে বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। ফলে গত সোমবার  কাঠালিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. গোলাম কিবরিয়া সিকদার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আকন্দ মোহাম্মদ ফয়সাল উদ্দিনকে জানান নির্যাতিত ওই নারী।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও ইউএনও সরোয়ার ও কামরুন্নাহার ইমার বক্তব্য শুনে স্থানীয় কয়েকজন গণ্যমান্য ব্যক্তির উপস্থিতিতে দুজনের বিয়ে সম্পন্ন করার দায়িত্ব দেন। কাঠালিয়া কাজীর অফিসে উপজেলা সদর জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আহসান উল্লাহ খান সবুজকে ডেকে ইসলামী শরিয়াহমতে তিন লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করে বিয়ে রেজিস্ট্রি করা হয়।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর