বর্ণাঢ্য আয়োজনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (ডুজার)’র ৩৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপিত হয়েছে। গতকাল সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে এই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শুভ উদ্বোধন করেন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে অবস্থিত সমিতির কার্যালয়ে সমিতির পরিবর্ধিত শহীদ চিশতী স্মৃতি পাঠাগার উদ্বোধন করেন এবং কেক কেটে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সামাদ, সমিতির সভাপতি আসিফুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান নয়ন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাকিম আবির, দপ্তর সম্পাদক রায়হানুল ইসলাম আবির, অর্থ সম্পাদক আব্দুল করিম, কার্যনির্বাহী সদস্য মুনির হোসাইন, মাহদী আল মুহতাসিম নিবিড়সহ সমিতির সদস্যরা। ‘তথ্যে তারুণ্যে নিত্য সত্যে’ স্লোগানকে ধারণ করে গত ৩৩ বছর যাবৎ বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচারের মাধ্যমে সংগঠনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের মঞ্চে পরিণত হয়েছে।
ভূমিকা রেখেছে দেশসেরা বিদ্যাপীঠের সকল ইতিবাচক কার্যক্রম তুলে ধরে শিক্ষার মান সমুন্নত করার। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শুভেচ্ছা জ্ঞাপনকালে ভিসি বলেন, অনেক জায়গায় আমাকে বলা হয় আপনাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাকেন্দ্রিক খবর অনেক বেশি তখন আমি গর্ব সহকারে এই সংগঠনের কথা বলি। এটি আমাদের অন্যতম একটি শক্তি।
এই সমিতির সদস্যদের লিখনীর মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ইতিবাচক কার্যক্রম বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। আমি আশা করি, ভবিষ্যতে এই সংগঠন এখনকার মতোই তার বস্তুনিষ্ঠতা ও সততা ধরে রেখে আরো সফলভাবে কাজ করবে। প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সামাদ বলেন, সমিতির সদস্যদের বেশি করে পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে হবে।
বিশেষ করে রবীন্দ্রনাথের শিক্ষাকেন্দ্রিক প্রবন্ধগুলো পড়তে হবে তাহলে জানার পরিধি আরো বাড়বে। পাঠ্যবই যদি আহার হয় অন্যান্য বই হলো সেই আহারের হজম সহায়ক। তাই সদস্যদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য নিয়মিত পড়াশোনার পাশাপাশি বাইরের বইও পড়তে হবে। সমিতির সভাপতি আসিফুর রহমান বলেন, পূর্ববর্তীদের বস্তুনিষ্ঠতা ও সততার ধারাবাহিকতা বজায় রেখে এই সমিতি আগামীতেও তার সাফল্যের ধারাবাহিকতা বজায় রাখবে। সেই সঙ্গে তিনি সমিতির সদস্যদের কর্মদক্ষতা ও ন্যায় নিষ্ঠতার প্রশংসা করেন। সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান নয়ন বলেন, অতীতের মতো ভবিষ্যতেও এই সমিতি বিশ্ববিদ্যালয় সহ দেশের ক্রান্তিকালে পূর্ণ দায়িত্ববোধ নিয়ে কাজ করবে। একই সঙ্গে এর সদস্যদের কর্মদক্ষতা ও বস্তুনিষ্ঠতা বিশ্ববিদ্যালয় ও দেশের সুনাম রক্ষার্থে আরো সহায়ক হবে।