× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ভারতের বড় জয়

প্রথম পাতা

স্পোর্টস রিপোর্টার
২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮, বৃহস্পতিবার

এক বছর আগে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে ভারতকে ১৮০ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছিল পাকিস্তান। ওই ম্যাচে পাকিস্তানের করা ৩৩৮ রানের জবাবে ১৫৮ রানেই গুটিয়ে গিয়েছিল তারা। এশিয়া কাপে গতকাল সেই জ্বালাই মিটিয়েছে ভারত পাকিস্তানকে ১৬২ রানের গুটিয়ে দিয়ে। হংকংয়ের কাছে আগের ম্যাচে নাকানি-চুবানি খাওয়া রোহিত-হার্দিকরা ২৯ ওভারে ম্যাচটি জিতে নিয়েছে ৮ উইকেটে। ম্যাচ সেরা পেসার ভুবনেশ্বর কুমার। আগামী রবিবার সুপার ফোরের ম্যাচে আবারো ভারতের মুখোমুখি হবে পাকিস্তান।
এশিয়া কাপে গ্রুপে একটি করে ম্যাচ খেলেই সুপার ফোর নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও ভারত। চার দলের জন্যই দ্বিতীয় ম্যাচটি ছিল গ্রুপ সেরা হওয়ার লড়াই।

কিন্তু ভারতকে খুশি করতে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) সূচিতে বদল এনেছে, তাতে গ্রুপের শেষ দুটি ম্যাচ কেবলই আনুষ্ঠানিকতা।
সুপার ফোরের দল নিশ্চিত হওয়ার পর মঙ্গলবার হঠাৎ করে টুর্নামেন্টের সূচিতে পরিবর্তন এনে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে এসিসি। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপও চূড়ান্ত করেছে তারা। তাতে ‘এ’ গ্রুপের সেরা হিসেবে ভারত ও দ্বিতীয় স্থানে পাকিস্তানকে রেখেছে এশিয়ার সর্বোচ্চ ক্রিকেট সংস্থা। আর ‘বি’ গ্রুপে আফগানিস্তানকে চ্যাম্পিয়ন করে বাংলাদেশকে দুই নম্বরে চূড়ান্ত করেছে। দুবাইয়ে হংকংকে হারানোর পর পাকিস্তানকে নিয়ে সোমবার সুপার ফোর নিশ্চিত করে ভারত। মঙ্গলবার চিরপ্রতিদ্বন্ধীদের বিপক্ষে নেমেছে তারা একই ভেন্যুতে। সংশোধিত সূচি অনুযায়ী দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামেই সবক’টি ম্যাচ খেলবে ভারত। পাকিস্তান খেলবে আবুধাবি ও দুবাইতে।

কাল এই স্টেডিয়ামে ম্যাচটি গুরুত্বহীন হলেও লড়াইটা ভারত ও পাকিস্তান বলেই উত্তেজনার পারদটা ছিল তুঙ্গে। কিন্তু পাকিস্তান ব্যাটিংয়ে উত্তেজনা ছড়াতে পারল কই! পাকিস্তান টস জিতে ব্যাট করতে নেমে গুটিয়ে যায় ১৬২ রানে। পাকিস্তানের এই রান টপকাতে ভারতের লেগেছে মাত্র ২৯ ওভার। উইকেট হারিয়েছে মাত্র দুটি। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরি করা শেখর ধাওয়ান দারুন খেলেছেন এদিনও। অধিনায়ক রোহিম শর্মাও ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছেন ভালোভাবে। মাত্র ৩৭ বলে তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের ৩৫তম হাফ সেঞ্চুরি। শাদাব খানের ঘূর্ণিতে ভারত অধিনায়ক থেমেছেন ৫২ রানে। এদিন হার্দিক পান্ডের মতো শাদাব খানও মাঠ ছেড়েছেন ইনজুরিতে পরে। ৮৬ রানে সঙ্গী হারা শেখর ধাওয়ান (৪৬) ফিরেছেন ১০৪ রানে। তাকে ফিরিয়েছেন তরুণ পেসার ফাহিম আশরাফ। তবে এরপর আর উইকেট হারায়নি ভারত। ১২৬ বল হাতে রেখেই অবিচ্ছিন্ন ৬০ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌছে মাঠ ছেড়েছেন আম্বাতি রাইডু ও দিনেশ কার্তিক। রাইডু ও কার্তিক দু’জনেই অপরাজিত ছিলেন ৩১ রানে।

গত বছরের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ফাইনালের পর এটি দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর প্রথম সাক্ষাত। এই ম্যাচে পাকিস্তানের উদ্বোধনী জুটির ওপর নজর ছিল। ইমাম-উল-হক ও ফখর জামানের এই জুটিটা গত কিছুদিনে অবিশ্বাস্য খেলছে। আর ভারতের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে ফখরের সে সেঞ্চুরি তো এখনো মনে রেখেছেন অনেকে। কিন্তু ওসব আলোচনা মিইয়ে গেল প্রথম পাঁচ ওভারেই। ভুবনেশ্বর কুমারের পরপর দুই ওভারে হাস্যকরভাবে আউট দুজন। মাত্র তিন রানে দুই উইকেট হারানো পাকিস্তান তখন মহাবিপাকে। সেখানে বাবর আজমের সঙ্গে মালিকের জুটিটাও দাঁড়িয়ে গিয়েছিল। ১৭ ওভারে ৮২ রানের জুটিটা যখন থিতু হলো কেবল তখনই পথ হারাল পাকিস্তান। কুলদীপ যাদবের একটি গুগলি বুঝতে না পেরে বোল্ড হলেন বাবর (৪৭)। একটু পরেই ভুল বোঝাবুঝিতে রানআউট শোয়েব (৪৩)। এরই ফাঁকে মনীশ পান্ডের দারুণ উপস্থিত বুদ্ধিতে সীমানায় ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন পাকিস্তান অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ। আর কেউ হাল ধরতে পারেননি। অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ (৬), আসিফ আলী (৯), শাদাব খান ৮ রান করে আউট হন। স্পিন বোলিংয়ে তিনটি উইকেটই নেন ব্যাটিং অলরাউন্ডার কেদার যাদব। ১২১ রানে ৭ উইকেট হারানোর পর ৩৭ রানের জুটিতে দলীয় সংগ্রহ দেড়শ’ পার করেন ফাহিম আশরাফ (২১) ও মোহাম্মদ আমির (১৮ অপরাজিত)। তিনটি করে উইকেট নেন পেসার ভুবনেশ্বর কুমার ও কেদার যাদব। দুই উইকেট পান অপর পেসার জসপ্রিত বুমরাহ।

‘এ’ গ্রুপ থেকে হংকংয়ের বিদায়ে ভারত ও পাকিস্তানের ‘সুপার ফোর’ রাউন্ড নিশ্চিত হয়েছে আগেই। নিজেদের প্রথম ম্যাচে হংকংকে ৮ উইকেটে হারায় পাকিস্তান। হংকংকে ভারত হারিয়েছে ২৬ রানে। হংকং ম্যাচে বিস্তর পরীক্ষা নিরীক্ষা করলেও পাকিস্তানের বিপক্ষে কোনো ঝুকি নেয়নি রোহিত শর্মার দল। ভারত দলে আনা হয় দুটি পরিবর্তন। বাদ পড়েন শার্দুল ঠাকুর আর হংকংয়ের বিপক্ষে দারুণ বোলিং করা খলিল আহমেদ। তাদের বদলে একাদশে জায়গা নেন হারদিক পান্ডিয়া আর জসপ্রিত বুমরাহ। পাকিস্তান অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে মাঠে নামে। তাদের দলে চার পেসার-মোহাম্মদ আমির, হাসান আলি, উসমান খানের সঙ্গে পেস বোলিং অলরাউন্ডার ফাহিম আশরাফ।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর