চকরিয়ায় মোবাইল ফোন চুরির অপবাদ দিয়ে জোরপূর্বক মাথা ন্যাড়া করে দেয়া হয়েছে ইব্রাহিম নয়ন নামের এক যুবকের। চকরিয়া পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও উপজেলা যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মুজিবুল হক বুধবার ওই যুবককে একটি সেলুনে নিয়ে মাথা ন্যাড়া করা হয়। সেলুনের এক কর্মচারীকে বাধ্য করা হয় যুবকের মাথা ন্যাড়া করে দিতে। ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়েছে। ইব্রাহিম নয়ন চকরিয়া পৌরসভার ফুলতলা গ্রামের আবদুল মালেকের পুত্র। চকরিয়া থানার ওসি মো. বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘ওই যুবক যদি কোন অপরাধ করেও থাকে, তাহলে তাকে ধরে পুলিশের কাছে সোপর্দ করার নিয়ম। জনপ্রতিনিধি হলেও কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নেয়ার অধিকার নেই। এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ইব্রাহিম নয়ন দাবি করেন, বুধবার দুপুর বারোটার দিকে পৌরশহরের চিরিঙ্গা কাঁচাবাজার এলাকায় এক মহিলাকে উত্ত্যক্ত করে অপর এক বখাটে। এ সময় ওই মহিলার পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন ইব্রাহিম । তখন উত্ত্যক্ত করার ঘটনায় ওই বখাটেকে ধরতে ওই মহিলা অনুরোধ করেন ইব্রাহিম নয়নকে। মূহুর্তের মধ্যে বখাটের ফোনে আরো কয়েকজন বখাটে উপস্থিত হয় পৌরশহরের এস আর প্লাজার সামনে। এ সময় ওই স্থান থেকে ইব্রাহিম নয়নকে ধরে নিয়ে যায় পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মুজিবুল হকের কার্যালয়ে। সেখানে তাকে শারিরিকভাবে মারধরের পর নিয়ে যাওয়া হয় সেলুনে। এর পর কাউন্সিলরের নির্দেশমতে ন্যাড়া করে দেয়া হয় তার মাথা। চকরিয়া পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতা মুজিবুল হক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘যুবকটি মূলত মোবাইল ফোন চোর। সে পৌরসভার সওদাগরঘোনা এলাকার এক ব্যবসায়ীর মোবাইল ফোন ছিনতাই করে পালিয়ে যাওয়ার সময় প্রত্যক্ষদর্শীরা ধাওয়া দেয়। এ সময় সে আমার সামনে পড়ে গেলে তার কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে ছিনতাইয়ের শিকার ব্যবসায়ীকে ফেরত দিই। পরে স্থানীয় জনতার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সেলুনে নিয়ে গিয়ে মাথা ন্যাড়া করে দিই।’