গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে এশিয়া কাপের সুপার ফোরে উঠেছে ভারত। গতকাল চির প্রতিদ্বন্ধী পাকিস্তানকে উড়িয়ে দিয়েছে তারা। দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তানের অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ। ১৬২ রানে গুটিয়ে যায় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির বিজয়ীরা। জবাবে ২৯তম ওভারে ম্যাচ শেষ করে ভারত। ৮ উইকেটে জয় পায় তারা। ১২৬ বল হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে ভারত। এর আগে এতো বল হাতে রেখে কখনোই পাকিস্তানের বিপক্ষে জয় পায়নি ভারত।
বলের হিসেবে এটাই তাদের সবথেকে বড় জয়। সবশেষ ১০৫ বল হাতে রেখে জয় পেয়েছিল মুলতানে, ২০০৬ সালে। সেবার ১৬২ রান তাড়া করে জয় পায় ৫ উইকেটে। গতকাল বাবর আজম ও শোয়েব মালিক বাদে কেউই লড়াই করতে পারেননি। ব্যাটিংয়ের শুরুতেই জোড়া ধাক্কা খায় পাকিস্তান। ওপেনার ইমাম-উল-হক (২) ও ফখর জামান (০) আউট হন ভুবনেশ্বর কুমারের বলে। তৃতীয় উইকেটে প্রতিরোধ পায় পাকিস্তান। ৮২ রানের জুটি গড়েন শোয়েব মালিক ও বাবর আজম। ধীর গতিতে রান তুললেও পাকিস্তানকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন দুই ব্যাটসম্যান। এ জুটি ভাঙেন কুলদ্বীপ যাদব। বাঁহাতি এই স্পিনারের বলে এগিয়ে এসে মারতে গিয়ে বোল্ড হন বাবর। সাজঘরে ফেরার আগে ৬২ বলে সর্বোচ্চ ৪৭ রান করেন তিনি। পরে মাত্র ৬ রান করে ফেরেন অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ। ব্যক্তিগত ৪৩ রান করে ফেরেন শোয়েব মালিক। শেষ দিকে ফাহিম আশরাফের ২১ ও মোহাম্মদ আমিরের অপরাজিত ১৮ রানের সুবাদে ১৬২ রানের পুঁজি পায় পাকিস্তান। ভারতের হয়ে বল হাতে কেদার যাদব ও ভুবনেশ্বর ৩টি করে উইকেট নেন। ২টি উইকেট পান জসপ্রিত বুমরাহ। সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৮৬ রান পায় ভারত। অধিনায়ক রোহিত শর্মা ৩৯ বলে করেন ৫২ রান। ৬ চার ও ৩ ছক্কায় সাজান ইনিংসটি। আরেক ওপেনার শেখর ধাওয়ান সাজঘরে ফেলেন ৪৬ রানে। ৫৪ বলে ৬ চার ও ১ ছক্কায় ইনিংসটি সাজান ধাওয়ান। জয়ের বাকি কাজটুকু সারেন রাইডু ও কার্তিক। দুজনের অবিচ্ছিন্ন ৬০ রানের জুটিতে ভারতের জয় পেতে কষ্ট হয়নি। দুজনই অপরাজিত থাকেন ৩১ করে রান করে।