× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

তাহিরপুর সীমান্তের বড়গোফ টিলার গাছ ও পাথর কেটে নিয়ে যাচ্ছে অসাধু চক্র

বাংলারজমিন

তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
২১ সেপ্টেম্বর ২০১৮, শুক্রবার

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্তের পর্যটন খ্যাত বড়গোফ (বারেক) টিলার গাছ ও পাথর কেটে নিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় একটি অসাধু চক্র। এ অসাধু চক্রটি প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ তাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে সাহস পাচ্ছে না। এ অসাধু চক্রটি প্রতিদিনই রাতের আঁধারে টিলার মাটি খুঁড়ে পাথর উত্তোলন করে ঠেলাগাড়ি দিয়ে অন্যত্র বিক্রিও করছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বড়গোফ গ্রামের বিলাল, খসরু, নুর ইসলাম, রহমান, তোফাজ্জল, আজিজুল জাহিদ, শহিদ, রশীদ ও নিজামসহ একটি অসাধু চক্র বারেক টিলার গাছ ও পাথর নিয়ে অন্যত্র বিক্রি করছে। তবে, বিষয়টি অস্বীকার করে নুর ইসলাম গং বলেন, কে বা কাহারা বড়গোফ (বারেক) টিলার পাথর ও গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে তারা এ বিষয়ে কিছুই জানেন না। বড়গোফ টিলার পাশে চাঁনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুজিবুর রহমান জানান, মঙ্গলবার সকালে সুনামগঞ্জ যাওয়ার পথে তিনি দেখতে পান টিলার উপর একটি আকাশমনি গাছ গোড়া কেটে মাটিতে পুঁতে রেখেছে একটি অসাধু চক্র। তখন তিনি খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, বড়গোফ গ্রামের জাহিদ, জব্বার, জলিল মিয়া, নুর ইসলাম ও আদম আলী টিলার জমি জবর-দখলের লক্ষ্যে প্রতিদিনই মাটি খুঁড়ে পাথর নিচ্ছে এবং বিভিন্ন সময় রাতের বেলা গাছের গোড়া কেটে মাটিতে ফেলে রাখে এবং সময় বুঝে লোকালয়ের অজান্তে তারা গাছ উঠিয়ে অন্যত্র বিক্রি করে। শ্রীপুর ফরেস্ট কর্মকর্তা বীরেন্দ্র কিশোর রায় বলেন, পর্যটন কেন্দ্র বড়গোফ (বারেক) টিলার গাছ কাটার বিষয়ে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তিনি মামলা দায়ের করেছেন।
তদন্তের স্বার্থে নাম প্রকাশ করা যাচ্ছে না বলে তিনি জানান। তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের সংরক্ষিত আসনের নারী সদস্য আদিবাসী নেত্রী সুসমা জাম্বিল বলেন, মঙ্গলবার সকালে কাছারির তহশিলদারের সঙ্গে তিনি ও স্থানীয় ইউপি সদস্য সম্রাট মিয়া ছিলেন, তহশিলদার বড়গোফ গ্রামের মানুষদের নিষেধ করেছেন তারা যেন টিলা থেকে পাথর ও গাছ না কাটে। তহশিলদার এসবের সঙ্গে জড়িতদের নামে একটি তালিকাও করেছেন। শ্রীপুর ডিহিবাটি তহশিলের তহশিলদার সেলিম মিয়া জানান, বড়গোফ (বারেক) টিলার পাথর ও গাছ কাটার সংবাদ পেয়ে মঙ্গলবার সকালে তিনি সরজমিন তদন্ত করেন এবং পাথর ও গাছ জব্দ করে ঘটনাস্থলে লাল নিশানা টাঙিয়ে দিয়েছেন। তিনি জানান, তদন্তের সময় তার সঙ্গে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও উপজেলা পরিষদের সংরক্ষিত আসনের নারী সদস্য ছিলেন। উল্লেখিত অসাধু ব্যক্তিরা বারেক টিলার গাছ ও পাথর অন্যত্র বিক্রি করছেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর