ওসি আব্দুল হাইয়ের বিরুদ্ধে ঘুষ-দুর্নীতির অভিযোগ এনে মামলা থেকে অব্যাহিত প্রদানের আবেদন জানিয়েছেন কোম্পানীগঞ্জ ট্রান্সপোর্ট কমিটির সভাপতি মো. জামাল আহমদ। সিলেটের ডিআইজি ও পুলিশ সুপারের কাছে আইনজীবীর মাধ্যমে মঙ্গলবার দেয়া এক আবেদনে তিনি এ দাবি জানান। জামাল আহমদ অভিযোগ করেন- মামলার ভয় দেখিয়ে ওসি আব্দুল হাই সোর্স বিল্লালের মাধ্যমে তার কাছে এক লাখ টাকা ঘুষ চান। টাকা না দেয়ায় পর্যটন এলাকায় পাথর লুটপাটের ঘটনায় করা মামলায় তাকে আসামি করা হয়েছে। পাড়ুয়া বাদিকোনা এলাকার সাবেক মেম্বার আবুল হোসেনের ছেলে ও উপজেলা যুবলীগের সিনিয়র সদস্য মো. জামাল আহমদ আবেদনে উল্লেখ করেন- ‘প্রতিষ্ঠিত ট্রান্সপোর্ট ব্যবসায়ী হওয়া সত্ত্বেও বর্তমানে পাথর চুরির মামলার আসামি হয়ে ফেরারি জীবন করছি। অতীতে কখনো মামলা তো দূরের কথা জিডি হয়নি আমার বিরুদ্ধে।’ তিনি বলেন- ওই দিন পর্যটন এলাকা কলাবাড়ির সোর্স বিল্লালের লোকজনের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। ঘটনার পরপরই বিল্লাল ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে নিরীহ মানুষদের আসামি করেছে। জামাল আহমদ বলেন- ‘মামলার বাদী বিওপির নায়েক সুবেদার জাহাঙ্গীরের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলি।
নায়েক সুবেদারও স্বীকার করেছেন যাদের আসামি করা হয়েছে তাদের তিনি চিনেন না। ওসি আব্দুল হাই তার সোর্সদের মাধ্যমে আসামিদের নাম খুঁজে বের করে মামলায় অন্তর্ভুক্ত করেছেন।’ বিজিবির দায়ের করা মামলা নিয়ে ঘুষ বাণিজ্যে কোম্পানীগঞ্জের ওসি মেতে উঠেন বলে দাবি করেন জামাল। স্মারকলিপিতে জামাল আহমদ ওসির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি তাকে ওই মামলা থেকে অব্যাহতি প্রদানেরও দাবি জানান।