× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

একজন শিক্ষানুরাগী এমএ মান্নান

বাংলারজমিন

সাখাওয়াত হোসেন হৃদয়, পাকুন্দিয়া (কিশোরগঞ্জ) থেকে
২১ সেপ্টেম্বর ২০১৮, শুক্রবার

মোহাম্মদ আবদুল মান্নান মানিক (এমএ মান্নান মানিক)। যিনি একজন শিক্ষানুরাগী, নিঃস্বার্থ সমাজসেবক ও শিল্পপতি। ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত এইচএম গ্রুপের কর্ণধার তিনি। কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার পোড়াবাড়িয়া গ্রামের মরহুম আবু নাছার ওয়াহিদ উদ্দিন এর বড় সন্তান তিনি। তিন ভাই ও তিন বোনের মধ্যে তিনি সবার বড়। বিপুল ধন সম্পদের মালিক হওয়া সত্ত্বেও তিনি একজন সাদা মনের মানুষ। বিত্ত-বৈভবের কোনো অহমিকা নেই তার। এলাকার মানুষের সাথে তার সম্পর্ক খুবই নিবিড়।
পাকুন্দিয়া উপজেলার লোকজন তাকে একজন শিক্ষানুরাগী ও গরীব দুঃখী মানুষের দাতা হাতেম তাই মনে করে। সবাই চিনে জানে ও সম্মান করে। নিজ এলাকায় তিনি একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মাদ্‌রাসা ও এতিমখানা করেছেন। এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্‌রাসা ও সামাজিক অনুষ্ঠানে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। অসচ্ছল পরিবারের মেয়ের বিয়ে, কারো জটিল চিকিৎসায় অনুদানসহ বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিতে তিনি খুবই আন্তরিক। তবে এসব তিনি নাম কিংবা বাহ্‌বা পাওয়ার জন্য করান না। প্রচার করেও বেড়ান না।  সাধারণ মানুষের কল্যাণে কিছু করতে পারায় যেন, তাঁর আনন্দ। এমএ মান্নান মানিক নিজে উচ্চশিক্ষা অর্জন করার সুযোগ না পেলেও গ্রামের পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের আলোকবর্তিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন তিনি। প্রতিষ্ঠান করেছেন এমএ মান্নান মানিক স্কুল, এমএ মান্নান মানিক কলেজ, পোড়াবাড়িয়া পশ্চিমপাড়া নূরুল কোরআন হাফিজিয়া মাদ্‌রাসা। যেখানে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের শ’ শ’ অসচ্ছল মেধাবী শিক্ষার্থী বিনা খরচে পড়ালেখার সুযোগ পাচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষক-কর্মচারীদের যাবতীয় খরচ তিনি বহন করেন।
শুধু তাই নয়, তিনি এ উপজেলার মেধাবী শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষায় আর্থিক অনুদান দিয়ে সহযোগিতা করে থাকেন। পাকুন্দিয়া পৌরসদর থেকে দুই কিলোমিটার দূরে পোড়াবাড়িয়া গ্রামে অত্যন্ত মনোরম পরিবেশে প্রতিষ্ঠা করেছেন কলেজটি। চার বিঘার জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত কলেজটি সম্পূর্ণই ক্রয়কৃত। অধ্যক্ষসহ শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মচারী মিলে ২৬ জন স্টাফ রয়েছে। যাদের বেতন বহন করেন এমএ মান্নান মানিক। কলেজটি বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী বিনা খরচে পড়ালেখার সুযোগ পাচ্ছে। ইউনিফর্ম, পাঠ্যবই সবই বিনা খরচে। গ্রামের গরিব অসচ্ছল শিক্ষার্থীরা এখানে পড়ালেখার সুযোগ নিতে পাচ্ছে। এ কলেজটি সম্প্রতি মন্ত্রণালয় কর্তৃক পাঠদানের অনুমতি পেয়েছে। এটা এ এলাকার জন্য বিশাল প্রাপ্তি। এছাড়াও এমএ মান্নান মানিক ২০০৮ সালে একই গ্রামে প্রতিষ্ঠা করেন এমএ মান্নান মানিক স্কুল। ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখার সুযোগ রয়েছে সেখানে। গ্রামের শ’ শ’ মেধাবী ও অসচ্ছল শিক্ষার্থী ওই স্কুলে বিনা খরচে পড়ালেখা করার সুযোগ লাভ করছে। এমএ মান্নান মানিক এর পিতা একজন সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করার সুযোগ পাননি। খুবই মেধাবী ও পরিশ্রমী ছিলেন তিনি। মেধা ও কঠোর শ্রমে প্রতিষ্ঠা করেছেন একাধিক শিল্প প্রতিষ্ঠান। তাঁর শিল্প প্রতিষ্ঠানে এখানকার বহু বেকার যুবক কর্মসংস্থানের সুযোগ পেয়েছে। দেশে অনেক বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে। রয়েছে অনেক শিল্পপতি। কিন্তু ক’জনাই বা হতে পেরেছে এমএ মান্নান মানিক।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর