× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

পূর্ব রূপসা বাসস্ট্যান্ডে টোল নিয়ে হরিলুট

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা থেকে
২১ সেপ্টেম্বর ২০১৮, শুক্রবার

খুলনা সিটি করপোরেশন নিয়ন্ত্রিত পূর্ব রূপসা বাসস্ট্যান্ডে টোল আদায়ে হরিলুট চলছে। গত দেড় বছরে ওই স্ট্যান্ড থেকে প্রায় ৩০ লাখ টাকা আদায় হলেও সিটি করপোরেশনে জমা হচ্ছে নামমাত্র। আদায়কৃত টাকার সিংহভাগই চলে যাচ্ছে করপোরেশনে নিয়োজিত টোল আদায়কারীর পকেটে। কৌশল হিসেবে আদায়কারী মাহবুব তারিখ ছাড়াই স্লিপ দিয়ে আদায় করছে টাকা। আর টাকা আদায়ের জন্য সার্বক্ষণিক নিয়োগ দিয়েছেন দু’জন কর্মচারী। ওই কর্মচারীদের বেতন বাবদই সে প্রতি মাসে দিচ্ছে ১৮ হাজার টাকা। জানা গেছে, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জনবহুল রূপসা ঘাটে নদী পারাপারে জনদুর্ভোগ বিবেচনায় এনে সিটি করপোরেশন ২০১৫-১৬ অর্থবছরে রূপসা নদীর দু’পারে দুটি পন্টুন স্থাপনসহ প্রায় ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে উভয় পারের বাস স্ট্যান্ডের উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন করে। এরপর থেকে ঘাট দু’টির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নেয় সংস্থাটি।
এ লক্ষ্যে প্রায় দেড় বছর আগে পূর্ব রূপসা বাস স্ট্যান্ডে টোল আদায়ের জন্য মাহবুব নামে তাদের একজন কর্মচারীকে নিয়োগ দেয়। এ ব্যাপারে টোল আদায়কারী মাহবুবের কাছে জানতে চাইলে তিনি প্রথমে নিজেকে সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা হিসেবে দাবি করে বলেন, অনিয়মের বিরুদ্ধে আপনার কাছে  কৈফিয়ত দিতে আমি বাধ্য নই। তার নিয়োজিত দুইজনকে প্রতিদিন ৬শ’ টাকা হারে মাসে ১৮ হাজার টাকা সিটি করপোরেশন দেয় কিনা জানতে চাইলে বলেন, ওদের বেতন আমিই দিয়ে থাকি। কীভাবে দেন, জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। এ ব্যাপারে সিটি করপোরেশনের স্টেট অফিসার নুরুজ্জামান তালুকদার বলেন, পূর্ব রূপসা ঘাটে টোল আদায়ের কিছু অনিয়ম আমার নজরে এসেছে। বিষয়টির সঙ্গে বেশ কিছু প্রভাবশালী জড়িত। তবে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর