× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ইতিহাস বদলাতে চায় বাংলাদেশ

শেষের পাতা

স্পোর্টস রিপোর্টার
২১ সেপ্টেম্বর ২০১৮, শুক্রবার

একটা সময় ছিল ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ মানেই উত্তেজনা। ক্রিকেটে দুই দলের লড়াই যেন ছড়াতো যুদ্ধের উত্তাপ। কিন্তু ধীরে ধীরে ভারতের আরেক প্রতিপক্ষ হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। এখন দুই দল মুখোমুখি হওয়া মানেই ভক্তদের উত্তেজনার পারদ হয় ঊর্ধ্বমুখী। আজ এশিয়া কাপের সুপার-ফোর পর্বে মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ।

অবশ্য এই ম্যাচের আগে মাঠের লড়াইয়ের সঙ্গে উত্তেজনা ছড়াচ্ছে সূচি বিতর্ক। গ্রুপ পর্বের ম্যাচ শেষ হওয়ার আগেই এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) হঠাৎ করেই দ্বিতীয় রাউন্ডের সূচি ঘোষণা করে। যে কারণে গ্রুপ পর্বে আফগানদের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচটি গুরুত্ব হারায়।
এসিসি’র এমন কাণ্ডের পর আলোচনা-সমালোচনা একটাই। ক্রিকেট বোদ্ধা থেকে ভক্ত-সমর্থক সবারই দাবি ভারতকে বাড়তি সুবিধা দিতেই এমন বাজে ও বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়েছে এসিসি।

এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয়ে গেছে দুই দলের ম্যাচ নিয়ে আলোচনা। হঠাৎ করেই এমন সূচি ভালভাবে নিতে পারেননি বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাও। তবে মাঠের লড়াইয়ের দিকে টাইগার অধিনায়কের চোখ। তার দলের সামনে ফের ভারত বধের চ্যালেঞ্চ। বিশেষ করে গেল বছর নিদাহাস ট্রফিতে ভারতের বিপক্ষে ফাইনালে হার নিয়ে শিরোপা হাতছাড়া হয় বাংলাদেশের। এর আগে ২০১৬ এশিয়া কাপেও ভারতের বিপক্ষে ফাইনালে স্বপ্ন ভাঙে টাইগারদের। তাই এবার এশিয়া কাপে ভারতে হারিয়ে শিরোপার কাছে এগিয়ে  যেতে চায় টাইগাররা। সংযুক্ত আরব আমিরাতে আজ ভারতকে হারাতে পারলেই শিরোপার অনেকটাই কাছে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ দল।


শেষ দু’টি ফাইনাল ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে শিরোপা স্বপ্ন বিলীন হয়েছিল টি-টোয়েন্টি ফরমেটে। এর আগে ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপে প্রথম বার সেমিফাইনাল খেলার স্বপ্ন শেষ হয় ভারতের বিপক্ষে হেরেই। সে সময়ও আম্পয়ারদের বিতর্কিত সিদ্ধান্ত বেশ সামালোচনা হয়। দুই দেশের দর্শক ও ভক্তদের মধ্যে শুরু তুমুল উত্তেজনা। এরপর ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে হঠাৎ করেই দেশের সেরা পেসার তাসকিন আহমেদ ও স্পিনার আরাফাত সানিতে অবৈধ বোলিংয়ের সন্দেহে নিষিদ্ধ করলে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়ে ভারত। বলতে গেলে এখন ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচ মানে শুধু মাঠেই নয়, মাঠের বাইরেও বেশ উত্তাপ ছড়ায়।

এই দুই দলের ম্যাচে মূলত উত্তেজনা শুরু হয় এশিয়া কাপ থেকেই। ২০১২ সালে এশিয়া কাপে দেশের মাটিতে ভারতকে প্রথম হারায় বাংলাদেশ দল। ওযানডে ফরমেটে এশিয়া কাপে এখন প্রথম ১০ বারের দেখাতে সেই একবারই জয়ের মুখ দেখেছিল টাইগাররা। সব শেষ ওয়ানডে ফরমেটে ভরতের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয় ২০১৫-তে ঢাকার মাঠে দ্বি-পক্ষীয় সিরিজে। সেবারই ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডেতে প্রথম ওয়ানডে সিরিজ জয়ের আনন্দে ভাসে দল। অবশ্য এরপর আরো দুই দেখাতে হারের মুখই দেখতে হয়েছে মাশরাফির দলকে। এখন পর্যন্ত ওয়ানডেতে ৩৩ বার মুখোমুখি হয়েছে সেখানে বাংলাদেশের জয় মাত্র ৫টি।

ক্রিকেট বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী দল ভারত। দুই দলের লড়াইয়ের পরিসংখ্যানেও বাংলাদেশ অনেকটাই পিছিয়ে। কিন্তু  বর্তমান সময়ে দুই দলের পরিসংখ্যান দিয়ে জয়-পরাজয়ের হিসাব করা যায় না। টাইগাররা এখন ওয়ানডে ফরমেটে যে কোনো দলকে হারাতে সক্ষম। যার প্রমাণ তারা মাঠের লড়াইয়ে রেখেছে। আরব আমিরাতের দুবাইয়ে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই দাপটের সঙ্গে শ্রীলঙ্কাকে উড়িয়ে শুরু করেছে টাইগাররা। এক ম্যাচ হাতে রেখেই নিশ্চিত করেছে দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলা।

অন্যদিকে ভারতের বিপক্ষে এমন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচের আগে বাংলাদেশ শিবিরে আজে ইনজুরির দুশ্চিন্তা। এরই মধ্যে তামিম ইকবাল ইনজুরির কারণে দল থেকে ছিটকে পড়েছেন। তার পরিবর্তে গতকাল আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেক হয়েছে তারুণ ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্ত। এছাড়াও এ ম্যাচে বিশ্রাম দেয়া হয় প্রথম ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকানো মুশফিকুর রহীমকে। তার পরিবর্তে ২০১৫ সালের পর দলে ফেরেন মুমিনুল হক সৌরভ।


আফগানদের বিপক্ষে বিশ্রামে রাখা হয় দলের সেরা পেসার মোস্তাফিজুর রহমানকেও। তার পরিবর্তে অভিষেক হয়েছে আবু হায়দার রনির। মূলত মুশফিক ও মোস্তাফিজকে বিশ্রাম দেয়ার কারণ ভারতের বিপক্ষে সেরা শক্তি নিয়ে আজ মাঠে নামা। এছাড়াও মুমিনুল, রনি ও শান্তকে মাঠে নামিয়ে পরীক্ষা করে নেয়া হয়েছে দলের সাইড বেঞ্চের শক্তিও।


অন্যদিকে সূচির কারণে বাড়তি সুবিধা পাওয়া ভারত এশিয়া কাপে নিজেরে শেষ ম্যাচে উড়িয়ে দিয়েছে তাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে। হংকংয়ের বিপক্ষে হারতে হারতে শেষ মুহূর্তে বাঁচলেও পাকিস্তানের বিপক্ষে দিয়েছে শক্তির মহড়াও। তবে বাংলাদেশ অধিনায়ক বিশ্বাস করেন নিজেদের সেরাটা খেলতে পারলেই যে কোনো দলকেই হারানো সম্ভব।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর