× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সন্ত্রাসবাদ বিষয়ক মার্কিন প্রতিবেদন /এখনো জঙ্গি হামলার ঝুঁকিতে বাংলাদেশ

শেষের পাতা

মানবজমিন ডেস্ক
২১ সেপ্টেম্বর ২০১৮, শুক্রবার

বুধবার প্রকাশিত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসবাদ বিষয়ক বার্ষিক প্রতিবেদন। সেখানে বলা হয়েছে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে নানা পদক্ষেপ নেয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশ এখনো সন্ত্রাসের ঝুঁকিতে রয়েছে। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ২০১৭ সালের মার্চ মাসের পর থেকে বাংলাদেশে কমপক্ষে তিনটি সন্ত্রাসী হামলা সংঘটিত হয়। তবে একইসঙ্গে বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীর প্রশংসাও করা হয়। গত বছর থেকে এদেশের নিরাপত্তা বাহিনী অনেক সন্ত্রাসী হামলা রুখে দিয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় সেখানে।এ ছাড়াও প্রতিবেদনটিতে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকারের জিরো টলারেন্স নীতিসহ আঞ্চলিক সন্ত্রাস দমনে বাংলাদেশের ভূমিকার কথা তুলে ধরা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে উপস্থাপন করা এ প্রতিবেদনে বাংলাদেশে গত বছরের তিনটি সহিংস হামলার জন্য জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটকে দায়ী করা হয়েছে। সেখানে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) ক্যামেপ আত্মঘাতী বোমা হামলা, ঢাকার একটি পুলিশ চেকপোস্টে জঙ্গি হামলা ও সিলেটের আতিয়া মহলে বিস্ফোরণে ৮ জন নিহত হওয়ার ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে। তিনটি হামলা ২০১৭ সালের মার্চ মাসে সংগঠিত হয়। প্রতিবেদনে আতিয়া মহলকে আইএসের সেফহাউজ বা ঘাঁটি উল্লেখ করে সব  হামলার জন্য আইএসকে দায়ী করা হয়।
একইসঙ্গে বাংলাদেশ সরকার সেসময় সন্ত্রাসীরা স্থানীয় জঙ্গি সংগঠনের সদস্য বলে যে দাবি করেছিল তা প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। প্রতিবেদনটিতে দাবি করা হয়েছে, আল কায়েদার ভারতীয় উপমহাদেশ শাখা ও আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আইএস এদেশে কমপক্ষে ৪০টি হামলার দায় স্বীকার করেছে। আইএস এর নিজস্ব ওয়েবসাইটে বাংলাদেশে জঙ্গি হামলা ও জঙ্গি কার্যক্রমের ভিডিও প্রকাশের কথাও উল্লেখ করা হয়।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, বাংলাদেশের ফৌজদারি বিচার বিভাগ জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইন সফলভাবে প্রয়োগ করছে। তবে সেখানে দাবি করা হয়, বিদেশি জঙ্গিদের বিচারে বাংলাদেশে যথেষ্ট  আইন নেই এবং কিছুক্ষেত্রে দেশীয় আইনেই বিচারকার্য সমপন্ন হচ্ছে। এ ছাড়া জঙ্গি অর্থায়ন ও অর্থ পাচার রোধে বাংলাদেশের ভূমিকার প্রশংসা করা হয়েছে। একইসঙ্গে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ইন্টারপোলের সঙ্গে তথ্য বিনিময় চালু রেখেছে। তবে সন্ত্রাসীদের তালিকা তৈরিতে বাংলাদেশের ব্যর্থতার কথাও উল্লেখ করা হয়।

সন্ত্রাস মোকাবিলায় বাংলাদেশ পুলিশের কার্যক্রমের কথা তুলে ধরা হয় সেখানে। পাশাপাশি বলা হয়, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো স্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের খোঁজ করতে কাজ করছে। একইসঙ্গে বাংলাদেশের বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সন্ত্রাস মোকাবিলায় নানা গবেষণায় যুক্ত হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জঙ্গিবাদের স্বর্গ হয়ে ওঠা থেকে বিরত রাখায় সফল হলেও এখনো সন্ত্রাসী হামলার ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশ।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর