× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

খালেদার অনুপস্থিতিতে বিচার কাজ বেআইনি : ফখরুল

অনলাইন

স্টাফ রিপোর্টার
(৫ বছর আগে) সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৮, শুক্রবার, ২:১১ পূর্বাহ্ন

 বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে মামলার বিচার কাজ চালু রাখা বেআইনি বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। একই সঙ্গে তিনি বলেন, এটা তার প্রতি অবিচার করা যা মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী।
আজ শুক্রবার বেলা পৌনে ১১ টার দিকে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় কারাগারে স্থানান্তরিত আদালত রায় দিয়েছে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে বিচার কাজ চলবে। এটা বেআইনি, তার প্রতি অবিচার, এটা মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী।’
তিনি বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ, তিনি হাঁটতে পারেন না, অথচ তাকে চিকিৎসা না দিয়ে আদালতকে কারাগারে স্থানান্তরিত করে বিচার কাজ পরিচালনা করছে। অথচ আইনে বলা আছে বিচার কাজ চলতে হবে অভিযুক্ত ব্যক্তির সামনে। কিন্ত আদালত আদেশ দিলো তার অনুপস্থিতিতে বিচারকাজ চলবে। ’ আদালতের এ আদেশ জনগণ মেনে নিতে পারছে না এমনটা উল্লখ করে তিনি বলেন, ‘এ আদেশ পরিবর্তন হওয়া জরুরি। আমরা আবারও দাবী জানাচ্ছি খালেদা জিয়াকে বিশেষায়িত হাসপাতলে চিকিৎসা দেয়া হোক।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে সারা দেশে গায়েবী মামলার সংখ্যা ৩৭০৬ টি, আর এজাহারে নাম আসছে ৩ লক্ষ ১৩ হাজারের বেশি, আর অজ্ঞাতনামা আসামী ২ লাখ ৩৩ হাজার ৭৩০ জন, আটক করা হয়েছে ৩ হাজার ৬০০ জনেরও বেশি।’
নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি ও বিরোধী মতকে বাহিরে রাখতে সরকার বিএনপি ও বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের নামে গায়েবী মামলা দিয়ে দেশে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নির্বাচনের আগ মুহূর্তে পৃথিবীর কোনো দেশে এমন গায়েবী মামলা দায়ের করে না।
বিশ্বের যে কোনো দেশে নির্বাচনের সময় জনগণ কে নির্বাচন মুখি করা হয়। অথচ বাংলাদেশে সরকার নিজেদের অবৈধ ক্ষমতা দখলে রাখতে বিরোধী দলের নেতাকর্মী সমর্কদের নামে মিথ্যা মামলা দিচ্ছে। যাতে আবারো ৫ জানুয়ারি মত নির্বাচন করে ক্ষমতায় যায়।’
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এই আইন করা হলো যাতে কেউ আর সরকারের অপশাসন, অন্যায় দুনীতির বিরুদ্ধে কথা বলতে না পারে। এ আইনে কোনো সরকারী কর্মকর্তার গোপন তথ্য, বা দুনীতির খবর প্রকাশ করলে ১৪ বছরের কারাদন্ড ও ২৫ লক্ষ টাকা জরিমানা। তাহলে বলেন গণতন্ত্র কোথায়?’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী প্রমুখ।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর