× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

‘এখনো ফাইনাল খেলা সম্ভব’

খেলা

স্পোর্টস ডেস্ক
২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮, রবিবার

ভারতের বিপক্ষে বাজে হার নিয়ে সুপার ফোর পর্ব শুরু করেছে বাংলাদেশ। তবে পরের দুই ম্যাচে জয় নিয়ে ফাইনালে খেলতে চান অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। সুপার ফোর পর্বে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে আজ আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামছে টাইগাররা। খেলা শুরু বাংলাদেশ সময় বিকাল সাড়ে ৫টায়।  শুক্রবার ভারতের বিপক্ষে ১৭৩ রানের পুঁজি নিয়ে সাত উইকেটে হার দেখে মাশরাফি বাহিনী। আর ম্যাচ শেষে মাশরাফি বলেন, আমাদের এখনো ফাইনাল খেলা সম্ভব। এদিন আদতে আরো বড় লজ্জার মুখে ছিল টাইগাররা। দুবাইয়ে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে গিয়ে দলীয় ১০১ রানে সপ্তম উইকেট খোয়ায় বাংলাদেশ। তবে অষ্টম উইকেটে ৬৬ রানের জুটি গড়েন মাশরাফি ও মেহেদী হাসান মিরাজ।
জবাবে ওপেনার রোহিত শর্মার অপরাজিত ৮৩ রানে ভর করে মাত্র ৩৬.২তম ওভারে টার্গেট পার করে ভারত। আর হার শেষে মাশরাফি বলেন, ‘এখনো ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব।’ গ্রুপের শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২৫৬ রানের টার্গেটে ১১৯ রানে গুঁড়িয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। টানা দুই ম্যাচে বাজে হার দেখলেও ফাইনালে খেলার আশা ছাড়ছেন না বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি। পরের দুই ম্যাচে আফগানিস্তান ও পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে পা রাখতে চান টাইগারদের অধিনায়ক। মাশরাফি বলেন, ‘আমরা তো এখনো টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যাইনি। একটা দিন সময় পাচ্ছি চিন্তা ভাবনা করার। এখনো ফাইনাল খেলা সম্ভব। হতাশ হওয়ার কিছু নেই। কামব্যাক করার সুযোগ আছে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে যদি জিততে পারি, পাকিস্তানের সঙ্গে ম্যাচটা ফিফটি-ফিফটি হয়ে যাবে।’ আজ আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। একই মাঠে সুপার ফোরের শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে লড়াই আগামী ২৬শে সেপ্টেম্বর।
এবারের এশিয়া কাপে বাংলাদেশের শুরুটা ছিল উড়ন্ত। প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২৬১ রানের পুঁজি নিয়ে ১৩৭ রানের বিশাল জয় কুড়ায় বাংলাদেশ। মুশফিকুর রহীম খেলেন ১৪৪ রানের অনবদ্য ইনিংস। শুক্রবার ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে ব্যাট হাতে মলিন নৈপুণ্য দেখান বাংলাদেশের শীর্ষ ব্যাটসম্যানরা। সমান ৭ রান করেন দুই ওপেনার লিটন কুমার দাস ও নাজমুল হোসেন শান্ত। সাকিব ১৭, মুশফিক ২১ ও মিঠুনের ব্যাট থেকে আসে ৯ রান। আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তের শিকার মাহমুদুল্লাহ উইকেট খোয়ান ব্যক্তিগত ২৫ রানে। মোসাদ্দেক করেন ১২ রান। তবে অষ্টম উইকেট জুটিতে দৃঢ়তা দেখান মিরাজ-মাশরাফি। যথাক্রমে আট ও ৯ নম্বরে ব্যাট হাতে মাশরাফি ২৬ ও মিরাজ করেন ৪২ রান। আর হার শেষে মাশরাফি বলেন, ব্যাটিংয়ের জন্য খুব একটা খারাপ উইকেট নয়। আমরা ২৫০-২৬০ রান করতে পারতাম কিন্তু আমরা উইকেট হারাতে থাকি। হয়তো পরে ব্যাটিং করা আরো সহজ হতো। আপনি যদি ১৭০ রান করেন, তাহলে বোলারদের জন্য তা ডিফেন্ড করা কঠিন। ব্যাটসম্যানদের আরো দায়িত্ব নিতে হবে, বিশেষ করে পরপর দুই ম্যাচে স্কোর করতে ব্যর্থ হওয়ার পর। একটা ম্যাচই সবকিছু বদলে দিতে পারে। আমরা এখনো টুর্নামেন্টে টিকে আছি। আমাদের পরের ম্যাচ ভালো বোলার সমৃদ্ধ দলের বিপক্ষে। আমাদের ভালো ব্যাটিং করতে হবে। শক্তিশালী বোলিং আক্রমণের কারণে আফগানিস্তানকে হারানো কঠিন। তবে আমরা যদি ২৬০-২৭০ রান করতে পারি তাহলে অবশ্যই তাদের হারাতে পারবো। আমাদের বোলিং এখনো পর্যন্ত ঠিক আছে, ব্যাটিংটাই চিন্তার বিষয়।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর