রুদালী-র পরিচালক কল্পনা লাজমির জীবনাবসান হয়েছে। রোববার ভোর সাড়ে ৪টায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৬১ বছর। কিছুদিন ধরে তিনি কিডনির ক্যানসারে ভুগছিলেন। মুম্বইয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তার ডায়ালিসিসও চলছিল। গুরু দত্তের ভাইঝি কল্পনার মা খ্যাতনামা চিত্রশিল্পী ললিতা লাজমি। মাত্র ১৭ বছর বয়সে ভুপেন হাজারিকার সঙ্গে কাজের সুযোগ হয়েছিল তার। সাতের দশকে শুরুটা করেছিলেন শ্যাম বেনেগালের সহকারি হিসাবে। ১৯৭৭-এ শ্যামের ‘ভূমিকা’-য় কস্টিউম ডিজাইনার হিসাবেও দেখা যায় তাকে।
এর পর তথ্যচিত্র নির্মাণের কাজে যুক্ত হয়েছিলেন। এর পর ১৯৮৬ সালে পরিচালক হিসেবে তৈরি করেছিলেন প্রথম পূর্ণ্য দৈর্ঘ্যরে ছবি ’এক পল’। শাবানা আজমি, নাসিরুদ্দিন শাহ এবং অনুজ সাহানি অভিনয় করেছিলেন এই ছবিতে। এই ছবির প্রযোজকও ছিলেন তিনি। গুলজারের সঙ্গে মিলে সেই ফিল্মের চিত্রনাট্য লিখেছিলেন কল্পনা। পুরুষতান্ত্রিক সমাজকে চ্যালেঞ্জ ছুড়েছিলেন তার ফিল্মের নায়িকারা। তার ছবিতে শোনা গিয়েছে তৃতীয় লিঙ্গের কথাও। ‘এক পল’-এর পর চলচ্চিত্র থেকে সরে এসেছিলেন। শুরু করেছিরেন টেলিভিশনে ধারাবাহিকের কাজ। তার তৈরি ‘লোহিত কিনারে’ ব্যাপক জনপ্রিয় হয়েছিল। এর পর ১৯৯৩-তে ‘রুদালী’-র মাধ্যমে ফিরে এসেছিলেন ফের পরিচালনায়। ডিম্পল কাপাডিয়াকে নিয়ে রাজস্থানের পটভূমিতে তৈরি রুদালীর কাহিনি। ১৯৯৭ সালে তৈরি করেছিলেন ‘দারমিয়াঁ’। কিরণ খের ও টাবুর পাশে দেখা গিয়েছিল ছোট পর্দায় নায়ক আরিফ জাকারিয়ার অভিনয়। ২০০১ সালে রাভিনা ট্যান্ডনকে নিয়ে তৈরি করেছিলেন ‘দমন’ । ২০০৬ সালে তৈরি তার শেষ ছবি ‘চিঙ্গারি’। অভিনয় করেছিলেন সুস্মিতা সেন। ব্যক্তিগত জীবনেও প্রথা ভেঙেছেন কল্পনা। তার থেকে ২৮ বছরের বড় ভুপেন হাজারিকার সঙ্গে লিভ ইন সম্পর্কে থেকেছিলেন। ভুপেন হাজারিকার অসুস্থতার জন্য নিজের কেরিয়ারকেও দূরে সরিয়ে রেখেছিলেন।