× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আগামীর বিশ্ব হবে দূষিত পানিকে বিশুদ্ধ করার চ্যালেঞ্জ

এক্সক্লুসিভ

দীন ইসলাম, টোকিও (জাপান) থেকে
২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, সোমবার

মানুষ ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল বর্জ্যের সঙ্গে মিলিত পানিকে (স্যুয়ারেজ বর্জ্য) কীভাবে খাবার পানিতে পরিণত করা যায়- এটাই হবে আগামীর চ্যালেঞ্জ। এ ছাড়া সমুদ্রের লবণাক্ত পানি এবং বিভিন্ন ধরনের দূষিত পানিকে বিশুদ্ধ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ নিতে হবে।

এ ছাড়া ভূগর্ভস্থ পানির স্তর প্রতিবছরই নিচে নেমে যাচ্ছে, তাই ভূগর্ভস্থ পানির উপর থেকে নির্ভরশীলতা কমাতে হবে। আর ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন কমাতে হবে। কারণ পানির স্তর নিচে নেমে গেলে প্রাকৃতিক দুর্যোগের আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়।
জাপানের টোকিও বিগ সাইট এক্সিবিশন সেন্টারে ইন্টারন্যাশনাল ওয়াটার এসোসিয়েশনের (আইডব্লিউএ) আয়োজিত বিশ্ব পানি কংগ্রেস ও মেলায় ১০০টির বেশি দেশ থেকে পানি ও পরিবেশ সংক্রান্ত ৫ হাজার ৫০০ পেশাজীবী, প্রযুক্তিবিদ ও উদ্যোক্তা অংশ নিয়েছেন। এখানে এক সেমিনারে বিশুদ্ধ পানির সমস্যা ও সমাধান নিয়ে বক্তারা তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন।

দক্ষিণ আফ্রিকায় পানি ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞ কারলে বার্মে বলেন, আফ্রিকায় এখন সবচেয়ে বড় দুর্যোগ হলো খাবার পানি সংকট। সরকার  চেষ্টা করেও এর সমাধান করতে পারছে না। আফ্রিকা অঞ্চলে শুধু খাবার পানি সংকট তাই-ই নয়, সব ধরনের পানির ভয়াবহ সংকট চলছে। বর্ষাকালে পানি পাওয়া গেলেও শুষ্ক মৌসুমে সংকটটা ভয়াবহ রূপ নেয়।
এক সময় আফ্রিকার পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমাতে বললেও তা কেউ কর্ণপাত করেনি।
বার্মে আরো বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় এখন ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার অনেক বেশি। আর এসব দেশের মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় ভূ-উপরিস্থ তথা নদীর পানি দূষিত হচ্ছে আর মাটির নিচ থেকে পানি তুলে জমির সেচ থেকে শুরু করে সব ধরনের কাজ করা হচ্ছে। এই জায়গা থেকে সরে আসতে হবে। ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার এখনই কমাতে হবে। কারণ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে আমি দেখেছি নদীতে ও পুকুরে অনেক পানি আছে। এসব পানির ব্যবহার বাড়ালে ভূগর্ভস্থ পানির উপর চাপ কমবে, যা আগামী দিনের জন্য এসব দেশকে পানি সংকটে পড়তে হবে না।
থাইল্যান্ডের পানি বিশেষজ্ঞ ড. অধ্যাপক এনজেল জেরি তার বক্তব্যে আগামী দিনে খাবার পানি সংকটই হবে বড় সমস্যা। এখন হয়তো আফ্রিকা এটা বুঝতে পারছে কিন্তু বিশ্বের অনেক দেশ তা উপলব্ধি    পৃষ্ঠা ১৭ কলাম ৪
 করতে পারছে না। যখন সংকট দেখা দেবে তখন উপলব্ধি করতে পারবে। এ জন্য ভূ-উপরিস্থ তথা নদী ও পুকুরের পানি ব্যবহারে দক্ষিণ এশিয়া তথা পুরো এশিয়ার দেশগুলোকে গুরুত্ব দিতে হবে। ভূগর্ভস্থ পানির মজুত বাড়াতে হবে। সেচ কাজের জন্য ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার এখনই বন্ধ করতে হবে। কারণ এক কেজি ধান উৎপাদনে প্রায় ৩৩০০ লিটার পানি লাগে। আর একজন মানুষ ৩৩ লিটার বিশুদ্ধ পানি দিয়ে সাড়ে ৩ বছর তার জীবন ধারণ করতে পারবে। তাই বিষয়টি এখনই গুরুত্ব দিতে হবে।

অস্ট্রেলিয়ার পরিবেশ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক লি গর্ডেন বলেন, আগামী দিনে যাতে খাবার পানি সংকট না হয় তার জন্য প্রত্যেকটি দেশকে এখন থেকে কাজ করতে হবে। তা না হলে খাবার পানি সংকটের সঙ্গে ভূমিকম্পসহ নানা ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ বাড়বে। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে গেলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বাড়ে। বিষয়টি নিয়ে আমরা আন্তর্জাতিক বড় বড় অনুষ্ঠান ও সভা সেমিনারে কথা বলছি, কিন্তু বিষয়টি সেভাবে গুরুত্ব পাচ্ছে না।

লি গর্ডেন আরো বলেন, স্যুয়ারেজ বর্জ্য আর শিল্প বর্জ্য একাকার হয়ে নদীতে যাচ্ছে, তাতে নদীর পানি দূষিত হচ্ছে। এটা বন্ধ করতে হবে। মানুষ বাড়ছে, তাতে মানুষের জীবন যাপনের জন্য বিভিন্ন প্রয়োজনীয় জিনিস উৎপাদনে শিল্প বাড়ছে। আর এই শিল্প বর্জ্য অনেকাংশেই শোধন না করে নদীতে ফেলা হচ্ছে অনেক দেশে। এশিয়ার দেশগুলোতে এটা বেশি দেখা যায়। এটাও বন্ধ করতে হবে দ্রুত।  
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর