এবারো এমবিবিএস প্রফেশনাল পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করেছে আদ্-দ্বীন ফাউন্ডেশন পরিচালিত মেডিকেল কলেজসমূহ। পরীক্ষায় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী অনার্স মার্ক পাওয়াসহ শীর্ষে অবস্থান করছে। জানা গেছে, এমবিবিএস প্রথম প্রফেশনাল পরীক্ষায় এবার শীর্ষস্থান দখল করেছে খুলনা আদ্-দ্বীন আকিজ মেডিকেল কলেজ। গত বছর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে প্রথম প্রফেশনাল পরীক্ষায় অংশ নিয়ে প্রথম বছরেই শীর্ষস্থান দখল করেছিল কলেজটি। এবারও পাসের হারের দিক থেকে ২৩টি মেডিকেল কলেজের মধ্যে পাসের হার ৯১ শতাংশ নিয়ে শীর্ষস্থান দখল করেছে আদ্-দ্বীন আকিজ মেডিকেল কলেজ। এই পরীক্ষায় অংশ নিয়ে দ্বিতীয় ব্যাচ (২০১৫-২০১৬ শিক্ষাবর্ষ) শিক্ষার্থীদের মধ্যে এনাটমি বিষয়ে অনার্স মার্ক (৮৫ শতাংশ) পেয়েছে পিয়াল কুমার সাহা ও শান্তা ইসলাম আন্নি। এ বছর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২৩টি মেডিকেল কলেজ অংশগ্রহণ করে।
আদ্-দ্বীন উইমেন্স মেডিকেল: এই কলেজ থেকে প্রথম প্রফেশনাল পরীক্ষায় (২০১৬-২০১৭ শিক্ষাবর্ষ) অংশ নিয়েছিল ৯৮ জন ছাত্রী।
পাসের হার ৮৮.৭৭ শতাংশ। এনাটমি বিষয়ে অনার্স মার্ক পেয়েছে ফারাহ ইমতিয়াজ সিষ্টি। দ্বিতীয় প্রফেশনাল পরীক্ষায় (২০১৫-২০১৬ শিক্ষাবর্ষ) অংশ নেয় ৮২ জন। পাসের হার ৮৬.৫৮ শতাংশ। দ্বিতীয় প্রফেশনাল পরীক্ষায় ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগ থেকে অনার্স মার্ক পেয়েছেন ৩ জন। তারা হলেন- ফাহমিদা মজুমদার, সাদিয়া আফরিন সূচনা এবং সাদা হাসান। এই কলেজ থেকে তৃতীয় প্রফেশনাল পরীক্ষায় (২০১৪-২০১৫ শিক্ষাবর্ষ) অংশ নেয় ৮৪ জন। পাসের হার ৭৮.৫৭।
বসুন্ধরা-আদ্-দ্বীন মেডিকেল কলেজ: প্রথম প্রফেশনাল পরীক্ষায় (২০১৬-২০১৭ শিক্ষাবর্ষ) অংশ নেয় ৪২ জন। পাসের হার ৮৮.৬৩ শতাংশ। দ্বিতীয় প্রফেশনাল পরীক্ষায় (২০১৫-২০১৬) অংশ নেয় ৩২ জন। পাসের হার ৮৭.০৫ শতাংশ।
আদ্-দ্বীন সকিনা মেডিকেল কলেজ: প্রথম প্রফেশনাল পরীক্ষায় (২০১৬-২০১৭) অংশ নেয় ৪৮ জন। পাসের হার ৭৯.১৮ শতাংশ। দ্বিতীয় প্রফেশনাল পরীক্ষায় (২০১৫-২০১৬ শিক্ষাবর্ষ) অংশ নেয় ৫৪ জন। পাসের হার ৮৭.০৪ শতাংশ। এই পরীক্ষায় ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগ থেকে অনার্স মার্ক (৮৫ শতাংশ) পেয়েছেন তিন জন। তারা হলেন- মাসফিকা তাবাসসুম, খাদিজা রহমান ও জেবা রাইসা। চলতি বছরের মে মাসে পরীক্ষাগুলো অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষার্থীদের ভালো ফলাফল বিষয়ে আদ্-দ্বীন ফাউন্ডেশনের পরিচালক (রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড মেডিকেল এডুকেশন) ডা. মো. আনোয়ার হোসেন মুন্সি বলেন, আমাদের কলেজগুলো মানসম্মত শিক্ষক দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। এখানে রয়েছে শৃঙ্খলা ও নিয়মানুবর্তিতা। রুটিন ও সময়সূচি মেনে চলা হয়। তাছাড়া ‘স্মল গ্রুপ এডুকেশন’ পদ্ধতিতে পড়াশুনা পরিচালিত হয়ে থাকে। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ক্লোজ মনিটরিংয়ের মধ্যে থাকেন। এ কারণে আদ্-দ্বীন মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রফেশনাল পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করেছে।