× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

রাজনীতি এখন /সুধীজনদের সঙ্গে বৈঠকে বসছে ঐক্যপ্রক্রিয়া

প্রথম পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, সোমবার

নাগরিক সমাবেশের পর এবার সুধী সমাবেশ করবে জাতীয় ঐক্যপ্রক্রিয়া। আগামী বুধবার এ সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, আইনজীবী, চিকিৎসকসহ পেশাজীবী ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের আমন্ত্রণ জানানো হবে। সমাবেশে ঐক্য প্রক্রিয়া  ঘোষিত ৫ দফা দাবি এবং পরবর্তী করণীয় নিয়ে মতামত নেয়া হবে আমন্ত্রিত সুধীজনের কাছ থেকে। জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সদস্য সচিব আ ব ম মোস্তাফা আমীন মানবজমিনকে বলেন, শনিবারের নাগরিক সমাবেশের ফলোআপ হিসেবে গতকাল গণফোরাম ও ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতারা বৈঠক করেন। সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে বুধবার সুধী সমাবেশ আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়। ভ্যেনু হিসেবে প্রাথমিকভাবে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনকে রাখা হয়েছে। ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতারা জানিয়েছেন, সুধী সমাবেশে পেশাজীবীদের মতামত নেয়া হবে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর করণীয় নিয়ে।


সমাবেশে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া ছাড়া যুক্তফ্রন্ট ও নাগরিক সমাবেশে অংশ নেয়া রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধি রাখারও চিন্তা করা হচ্ছে। আয়োজন সূত্র জানায়, শনিবারের সমাবেশ থেকে সরকারের প্রতি যে আহ্বান জানানো হয়েছে ৩০শে সেপ্টেম্বরের মধ্যে এর কোনো ইতিবাচক সাড়া না পেলে সামনে কি করণীয় এবং কি কর্মসূচি দেয়া যেতে পারে তার ধারণা আসতে পারে সুধী সমাবেশ থেকে। শনিবারের সমাবেশ জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার প্রথম বড় কর্মসূচি ছিল। আমন্ত্রিত দলগুলোর প্রায় সবাই অংশ নেয়ায় আয়োজক এতে উজ্জীবিত। তারা মনে করছেন সামনে সুচিন্তিত কর্মসূচির মাধ্যমে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠা সম্ভব হবে।

জাতীয় ঐক্য গ্রামপর্যায়ে বিস্তৃত করার আহ্বান: এদিকে জাতীয় ঐক্য গ্রামপর্যায়ে বিস্তৃত করার আহ্বান জানিয়েছেন ঐক্য প্রক্রিয়ার আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন। তিনি বলেন, আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে সংসদ ভেঙে দিয়ে দল নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকার গঠন ও নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে। গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে আজ সারা দেশে জাতীয় ঐক্য গড়ে উঠেছে।

গতকাল রোববার সকালে ইডেন কমপ্লেক্সস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গণফোরাম-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় ড. কামাল হোসেন এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি বলেন, পরোয়ানা ছাড়া যেকোনো ব্যক্তিকে তল্লাশি, জব্দ ও গ্রেপ্তার করার জন্য পুলিশকে ক্ষমতা দেয়াসহ যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পাস করা হয়েছে তার তীব্র নিন্দা জানাই। এই আইন অবিলম্বে বাতিল করতে হবে।

ড. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে গত শনিবার ঢাকা মহানগর নাট্যমঞ্চে অনুষ্ঠিত নাগরিক সমাবেশকে সফল হিসেবে ভাবছে তার দল গণফোরাম। গতকাল গণফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১০টায় শুরু হয়ে বিকাল ৩টা পর্যন্ত চলে ওই সভা। এতে দলের পক্ষ থেকে বেশ কিছু সিদ্ধান্তও নেয়া হয়। দলকে সংগঠিত ও নির্বাচনমুখী করার সিদ্ধান্তও হয়। আগামী নির্বাচনে গণফোরামের পক্ষ থেকে প্রার্থিতার বিষয়ও আলোচনায় আসে। গঠিত হয়েছে গণফোরামের নমিনেশন বোর্ড। ড. কামাল হোসেনকে এই বোর্ডের প্রধান করা হয়েছে। কমিটিতে রয়েছেন আরো ৮ সদস্য। গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু মানবজমিনকে বলেন, কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় ৯ সদস্যের নমিনেশন বোর্ড গঠন করা হয়েছে। তা পরবর্তীতে প্রেসিডিয়াম সদস্যদের বৈঠকে চূড়ান্ত হবে।

সভায় অংশ নেয়া গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য জগলুল হায়দার আফ্রিক বলেন, সভায় জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া নিয়েও আলোচনা হয়। যুক্তফ্রন্ট ও ঐক্য প্রক্রিয়া মিলে কর্মসূচি ঠিক করবে। গত শনিবারের সফল নাগরিক সমাবেশের মতো করে সবাইকে নিয়ে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার পরবর্তী কর্মসূচিগুলো এগিয়ে নেয়ার জন্য নেতৃবৃন্দ মত দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।

গণফোরামের কেন্দ্রীয় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, মফিজুল ইসলাম খান কামাল, অ্যাডভোকেট এস এম আলতাফ হোসেন, মোকাব্বির খান, অ্যাডভোকেট জগলুল হায়দার আফ্রিক, মোশতাক আহমেদ, রফিকুল ইসলাম পথিক, অ্যাডভোকেট মো. জানে আলম, মুহম্মদ রওশন ইয়াজদানী, ফরিদা ইয়াছমিন, সাইদুর রহমান সাইদ, আব্দুস সাত্তার পাঠান, মেজর অব. আমীন আহমেদ আফসারী, আজিজুর রহমান মজনু, মোশারফ হোসেন তালুকদার প্রমুখ।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর