দুইজন দুই প্রজন্মের। নিজেদের সময়ে দুইজনই বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলার। তিনবারের বিশ্বকাপ জয়ী ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি পেলে আর আর্জেন্টাইন সুপারস্টার লিওনেল মেসি। দুইজনই নিজ নিজ ক্লাবের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা। ক্লাব ক্যারিয়ারের দিক থেকে পেলের সঙ্গে বার্সেলোনা তারকা মেসির তুলনা চলে আসছে। এক ক্লাবের হয়ে সবচেয়ে বেশি গোলের রেকর্ডে মেসির সামনে এখন শুধুই পেলে। ব্রাজিলিয়ান ক্লাব সান্তোসের হয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৭৫৭ ম্যাচে ৬৪৩ গোল রয়েছে পেলের। পেলেকে ছুঁতে আরো পথ পেরুতে হবে মেসিকে।
ইউয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগে পিএসভি আইনদোভেনের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক দিয়ে বার্সার জার্সিতে গোলসংখ্যাটা ৬৩৮ ম্যাচে ৫৫৯-এ নিয়ে যান মেসি। লা লিগায় ৩৮৭, স্প্যানিশ কোপা দেল রে’তে ৪৮, ইউয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগে ১০৩ ও অন্যান্য প্রতিযোগিতায় ২১ বার প্রতিপক্ষের জালে বল পাঠান পাঁচবারের বর্ষসেরা খেলোয়াড়। পেলের রেকর্ড থেকে ৮৪ গোল দূরে ৩১ বছর বয়সী মেসি। ২০১১-১২ মৌসুমে ৭৩ গোলের কীর্তি দেখান মেসি। গত মৌসুমে এক ক্লাবে গোলের রেকর্ডে জার্ড মুলারের ৫৩৫ গোলের রেকর্ড (১৯৬৪-১৯৭৯, বায়ার্ন মিউনিখ) টপকে যান তিনি। যদিও দাবি ওঠে, আঞ্চলিক প্রতিযোগিতায় জার্মান কিংবদন্তির ২৭ গোল রেকর্ডে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। মেসির গোলসংখ্যায় এখন এটি কোনো পার্থক্য এনে দেবে না। খেলোয়াড়ি জীবনের প্রায় পুরোটা সময় সান্তোসের হয়ে কাটিয়ে দেন ফুটবলের কালোমানিক পেলে। শেষদিকে নিউ ইয়র্ক কসমসের জার্সিতে (১৯৭৫-১৯৭৭) খেলে বুটজোড়া তুলে রাখেন সর্বকালের অন্যতম সেরা এই ফুটবলার। অন্যদিকে, পেশাদার ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই বার্সেলোনার হয়ে খেলছেন মেসি। ১৮ বছরের সান্তোস ক্যারিয়ারে ২৫টি শিরোপা জেতেন পেলে। এর মধ্যে দক্ষিণ আমেরিকার ক্লাব শ্রেষ্ঠত্বের আসর কোপা লিবার্তাদোরেস’র দুইটি শিরোপা রয়েছে। ২০০৪ সালে বার্সার সিনিয়র দলে অভিষেক হয় মেসির। পেশাদার ক্লাব ক্যারিয়ারে ১৫ মৌসুম চলছে বার্সার প্রাণভোমরার। ক্যারিয়ারে কাতালানদের হয়ে রেকর্ড ৩৩টি শিরোপা উঁচিয়ে ধরেন মেসি। আন্দ্রেস ইনিয়েস্তার বিদায়ে এই মৌসুমে ক্লাবের অধিনায়কত্ব ওঠে মেসির হাতে। আর নতুন মৌসুমে খেলোয়াড়দের পরিচিতি পর্বে চ্যাম্পিয়ন্স লীগ জয়ের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন তিনি। গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচেই হ্যাটট্রিক দিয়ে মিশন শুরু করেন মেসি। ২০১৪-১৫ মৌসুমে শেষবার চ্যাম্পিয়ন্স লীগ ট্রফির স্বাদ পায় বার্সা।