তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭(২) ধারা এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের হওয়া মামলায় নিম্ম আদালতেও জামিন পেয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। আজ সোমবার চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আবু সালেম মো. নোমানের আদালতে আতœসমর্পণ করে জামিন আবেদন করা হলে আদালত ২০ হাজার টাকার বন্ডে তার জামিন মঞ্জুর করেন।
এর আগে এ মামলায় উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের জামিন পান আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী আজ সোমবার চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আবু সালেম মো. নোমানের আদালতে আতœসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন তিনি।
জামিন পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (প্রসিকিউশন) নির্মলেন্দু বিকাশ চক্রবর্তী।
তিনি জানান, আজ আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর সাথে আদালতে যান চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন সহ বিএনপির বেশকিছু নেতাকর্মী। পরে জামিনের প্রক্রিয়া শেষে তারা আদালত প্রাঙ্গণ ত্যাগ করেন।
এর আগে গত ৪ঠা আগস্ট রাতে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ (২) এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনে নগরীর কোতোয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেন চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ স¤পাদক জাকারিয়া দস্তগীর।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছিলেন। ইলেকট্রনিকস ডিভাইস ব্যবহারের মাধ্যমে রাষ্ট্রে নৈরাজ্য সৃষ্টির উদ্দেশে তিনি উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। মামলার বাদী মহানগর ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ স¤পাদক জাকারিয়া দস্তগীর একজন শান্তিকামী নাগরিক হিসেবে এ মামলা করেছেন।
প্রসঙ্গত, গত ৪ঠা আগস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়।
সেই ক্লিপে কুমিল্লা থেকে নওমী নামের এক কর্মীর সঙ্গে একজনকে কথা বলতে শোনা যায়। নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে লোকজনকে নামানোর জন্য কথা বলতে শোনা যায় এ ক্লিপে। আর এই ক্লিপটি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বলে অভিযোগ উঠে। এ ঘটনায় পুলিশ কুমিল্লা থেকে নওমীকেও গ্রেপ্তার করেছে।