× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

৩ শতাধিক মৎস্যচাষির স্বপ্নভঙ্গ

বাংলারজমিন

চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮, মঙ্গলবার

ছিল না বৃষ্টি ছিল না বন্যা নিয়ে ভাবনা। আশা ছিল তুলবে এবার লাভের টাকা। কিন্তু সব আশাই ভেঙে দিল আর পুঁজি নিয়ে চিন্তায় ফেলালো উজানের ঢল। তাদের স্বপ্ন এখন দুঃস্বপ্ন। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে চিলমারীর ব্রহ্মপুত্র নদে পানি বৃদ্ধির ফলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। এতে উপজেলার ১২টি বাণিজ্যিক মৎস্য খামারসহ প্রায় ৫ শতাধিক পুকুর পানিতে ডুবে যাওয়ার উপক্রম হওয়া এবং ৩ শতাধিক পুকুর তলিয়ে যাওয়ায় পুঁজি হারানোর শঙ্কায় রয়েছে মৎস্যচাষিরা।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. বদরুজ্জামান মিঞা জানান, হঠাৎ করে পানি বৃদ্ধির ফলে ইতিমধ্যে কয়েকটি খামারসহ প্রায় ৩ শতাধিক পুকুর পানিতে তলিয়ে গেছে। আরো অন্তত ৫০০টি পুকুর তলিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল। ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে মৎস্য খামারসহ পুকুরগুলো তলিয়ে গিয়ে চাষিরা বিপুল ক্ষতির মুখে পড়বেন।
জানা গেছে, উপজেলায় মোট বাণিজ্যিক খামার রয়েছে ১২টি। এছাড়া সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে প্রায় ৮৩৫টি পুকুর রয়েছে। এসব পুকুর ও খামার থেকে এ বছর মাছের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৪ হাজার ৯২৬ টন। যার আর্থিক মূল্য প্রায় ৫০ কোটি টাকা। ১২০০ পরিবার সরাসরি মৎস্য চাষের সঙ্গে জড়িত। এদের অধিকাংশই ভূমিহীন ও হতদরিদ্র। তাদের অনেকই ব্যাংক কিংবা যেকোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়ে মাছ চাষ করেছেন। পাত্রখাতা চকিদারপাড়া কার্প মিশ্রচাষ প্রদর্শনীর দলনেতা কাজিম উদ্দিন জানান, তার প্রকল্পে মাছের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৫ টন। কিন্তু হঠাৎ বন্যা দেখা দেয়ায় প্রকল্পের মাছ ভেসে গেছে। এতে তারা পুঁজি হারানোর আশঙ্কায় ভুগছেন। একই কথা জানালেন, মৎস্যচাষি মাদু মন্ডল পাড়া এলাকার আনোয়ার হোসেন, লালু মিয়া ও ফরিস উদ্দিন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর