নিজ মাদ্রাসার শিশু শ্রেণিকক্ষে মাথার পাগড়ি গলায় পেঁচিয়ে সিলিংয়ের তীরের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে দ্বিতীয় শ্রেণির একছাত্র। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ কেউ বলতে পারছে না। কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার জিরুইন গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সরজমিন এলাকা ঘুরে জানা যায়, উপজেলার সাহেবাবাদ ইউনিয়নের জিরুইন উত্তরপাড়া রশিদিয়া কোরআনিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসার ২য় শ্রেণির ছাত্র জিরুইন উত্তর পাড়া গ্রামের কৃষক ফরিদ উদ্দিনের ছেলে মো. নাছির উদ্দিন (১২) মাদরাসার ছাত্রাবাসে থেকে লেখাপড়া করতো। গত রোববার মাগরিব নামাজের আগে নামাজ পড়ার প্রস্তুতি নিতে ওজু শেষে সে মাদরাসার শিশু শ্রেণির খালি একটি কক্ষে প্রবেশ করে। যথারীতি অন্য ছাত্ররা মাগরিব নামাজ শেষে তাকে দেখতে না পেয়ে খোঁজ করতে থাকে। তার ছোটভাই এ মাদরাসায়ই লেখাপড়া করতো। শিশু শ্রেণির কক্ষটি খোলা দেখে তার ভাই সেখানে খুঁজতে গিয়ে নাছিরকে তীরের সঙ্গে ঝুলে থাকতে দেখে চিৎকার শুরু করলে তখন সকল শিক্ষক ও ছাত্র দৌড়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।
এ সময় ওই এলাকার গ্রাম পুলিশ আবদুল মালেক, নিহতের ছোটভাই, মাদরাসার শিক্ষক মাওলানা আবু কাউছার অন্য সবার উপস্থিতিতে লাশ মাটিতে নামিয়ে আনেন। খবর পেয়ে থানার এসআই সাইফুজ্জামান ও সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে লাশ ময়নাতদন্ত জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ মর্গে প্রেরণ করে। মৃত্যুর কারণ উদঘাটনে তদন্ত চলছে। মৃত নাছিরের বাবা বাদী হয়ে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করেছেন। গতকাল ময়নাতদন্ত শেষে লাশ বাড়িতে এনে বাদ আছর বাড়ির পাশে জামে মসজিদ মাঠে নামাজে জানাজা শেষে তাকে তার পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।