× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ব্রিজের উপর সাঁকো

বাংলারজমিন

সিদ্দিক আলম দয়াল, গাইবান্ধা থেকে
২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮, মঙ্গলবার

দু’বছর অতিবাহিত হলেও বন্যার ভয়াবহ ক্ষতির চিহ্ন এখনো বহন করছে গাইবান্ধার সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার বিভিন্ন এলাকার রাস্তবাঘাট। ফুলছড়ি উপজেলায় পানির তোড়ে ধসে যাওয়া রাস্তাঘাট, কালভার্ট-ব্রিজ এখনো বন্যার স্মৃতি বহন করছে। েেজর উপর বাঁশের সাঁকো দিয়ে আপাতত চলাচলের ব্যবস্থা করলেও বিপজ্জনকভাবে চলাচল করছে মানুষ ও যানবাহন। এসব ব্রিজ ও কালভার্টের ওপর নির্মাণ করা হয়েছে বাঁশের সাঁকো। ইতিমধ্যে ১ জন নিহত হয়েছে ব্রিজ থেকে নিচে পড়ে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিরাপত্তাহীনভাবে চলছে হাজার হাজার মানুষ ও ছোট যানবাহন ।
তিস্তা, যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি উপচে দু’বছর আগে জুলাই মাসের প্রথম থেকেই শুরু হয় বন্যা। আর এই ভয়াবহ বন্যায় পানির তোড়ে ক্ষতির মুখে পড়ে গাইবান্ধা, সুন্দরগঞ্জ, সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলা। পানির ধাক্কায় ধসে যায় বাঁধ, ৪৩ কিলোমিটার কাঁচাপাকা সড়কসহ ৪টি কালভার্ট ও একটি ব্রিজ।
ফলে ফুলছড়ি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের সঙ্গে গ্রামের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পানি নেমে যাওয়ার পর এলজিইডি থেকে রাস্তা মাটি দিয়ে লোক দেখানো মেরামত করা হয়। চারটি কালভার্ট ও ব্রিজের উপড়ে দেয়া হয় বাঁশের সাঁকো। নড়বড়ে সেই বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়ে পারাপার হচ্ছে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ও যানবাহন। ইতিমধ্যে একটি কালভার্টের ঝুলন্ত ব্রিজ নির্মাণ করা হলেও অন্য তিনটির কাহিল অবস্থা।
কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আকবর হোসেন জানান, বন্যার পানির কারণে রাস্তাঘাট ও ব্রিজ ধসে গেছে কিন্তু এসব ব্রিজের উপর দেয়া হয়েছে বাসের সাঁকো। বাঁশ দিয়ে লোক দেখানো চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু সাঁকোর ওয অবস্থা তাতে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। শিশুদের স্কুলে আসা যাওয়া দুঃসাধ্য বিষয় হয়ে পড়েছে। অসুস্থ মানুষকে সাঁকোর উপর দিয়ে নেয়া কষ্টকর বিষয়। ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান বলেন, বিগত ২ বছর আগে বন্যার পানির তোড়ে ৪টি ব্রিজ ধসে যায়। সেই থেকে চলাচলের কথা ভেবে উপজেলা পরিষদ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে বাঁশের সাকো তৈরি করে দেয়া হয়। এই সাঁকোগুলোর উপর দিয়েই প্রতিদিন অন্তত ১ লাখ লোক চলাচল করে। পরিষরেদ সাধ্যমতো এমসব কালভার্ট ও সেতু মেরামত করে দেয়া হয়। । এলজিইডি, গাইবান্ধার নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুর রহমান শেখ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন ইতিমধ্যে সাঁকোগুলো সরিয়ে ব্রিজ নির্মাণের জন্য দরপত্র আহ্বান করে কাজ শুরু হয়েছে। আগামী শুকনো মৌসুমে ব্রিজগুলো নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর