২০১২, এশিয়া কাপের ফাইনাল কি ভুলে গেছে পাকিস্তান! তারা ভুললেও কোনো দিনও হয়তো ভুলবে না টাইগাররা। মাত্র ২ রানের জন্য মাশরাফিদের মাথায় ওঠেনি এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট। সেবার শুধু শিরোপাই হাতছাড়া হয়নি, ১৩ বছর পর দলটির বিপক্ষে জয় না পাওয়াটা আক্ষেপ হয়ে থেকে যায়। ১৯৯৯ বিশ্বকাপে এসেছিল প্রথম জয়।
তবে ১৬ বছর পর ২০১৫-তে শুধু ওয়ানডে ম্যাচই নয়, পাকিস্তানকে ওয়ানডে হোয়াটওয়াশ করেছিল টাইগাররা। তবে তাতে এশিয়া কাপের ফাইনালে হারের আক্ষেপ দূর হয়নি টাইগারদের। গেল তিন বছরে দুই দল ওয়ানডে ক্রিকেটে আর মুখোমুখি হয়নি। তবে এবার সংযুক্ত আরব আমিরাতে এশিয়া কাপে এসেছে সুযোগ। ফাইনালে নয়, এবার দুই দল মুখোমুখি হবে ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে।
চলতি এশিয়া কাপে ভারত এরই মধ্যে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে। কাল পাকিস্তান-বাংলাদেশের সুপার ফোরের লড়াই শেষে নিশ্চিত হবে ভারতের প্রতিপক্ষ। পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে যেতে পারবে তো বাংলাদেশ? খোদ পাকিস্তান শিবিরে রয়েছে বাংলাদেশ আতঙ্ক।
তাদের কোচ মিকি আর্থারতো অকপটে সেই ভয়ের কথা বলেই ফেলেছেন। তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে আত্মবিশ্বাসের সংকট চলছে। ড্রেসিংরুমে ব্যর্থতার ভয় কিছুটা হলেও গ্রাস করেছে। ক্রিকেট দল হিসেবে আসলেই আমরা কী অবস্থায় আছি, সেটাই আমরা এখন বুঝতে পারছি।’ মিকি আর্থার বলেন, ‘৯ উইকেটে হেরে যাওয়াটা দলের জঘন্য পারফরম্যান্সগুলোর একটি হয়ে থাকবে।
তবে আমাদের এখানেই থেমে যাওয়ার উপায় নেই। এগিয়ে যেতে হবে। আমরা এর চেয়ে অনেক ভালো আর শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসব।’ দলের এমন পরিস্থিতির কারণও ব্যাখ্যা করেছেন পাকিস্তানের প্রোটিয়া কোচ। আর্থার বলেন, ক্রিকেট হচ্ছে আত্মবিশ্বাসের খেলা। ফখর জামানকে দেখুন। আমরা জানি ও কতটা অবিশ্বাস্য খেলোয়াড়। পার্থক্য গড়ে দেয়ার মতো খেলোয়াড় সে। আমরা প্রত্যাশা করি ও আমাদের ভালো শুরু এনে দেবে। কিন্তু এই মুহূর্তে নিজের খেলা নিয়ে ওর মধ্যে যেন দ্বিধাদ্বন্দ্ব চলছে।