প্রায় এক বছর ছিলেন ওয়ানডে দলের বাইরে। তামিম ইকবালের চোট এবং বিকল্প ওপেনারদের ক্রমাগত ব্যর্থতায় হঠাৎই এশিয়া কাপ দলে ডাক মেলে তার। সংযুক্ত আরব আমিরাতে গিয়েই নেমে পড়েন মাঠে। আর আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাঁচা-মরার ম্যাচে ৭২ রানের স্মরণীয় এক অপরাজিত ইনিংস খেলে প্রত্যাবর্তন হয় ইমরুল কায়েসের। তাও আবার দলের প্রয়োজনে ৬ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে। ২০০৮ সালে ওয়ানডে অভিষেকের পর ৭১ ম্যাচের ক্যারিয়ারে এই প্রথম ৬ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন ইমরুল। ব্যাটিং পজিশন অচেনা হলেও দারুণভাবে মানিয়ে নেন তিনি। ফিরে পান হারানো আত্মবিশ্বাস।
ইমরুল যখন ক্রিজে আসেন তখন ৮১ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে দল। আর দলীয় ৮৭ রানে পাঁচ উইকেট হারানোর পর মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে ১২৮ রানের জুটি গড়েন ইমরুল। বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডেতে যা ষষ্ঠ উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটির রেকর্ড। ইমরুল বন্দনায় মাতেন ম্যাচসেরা মাহমুদুল্লাহ। ৭৪ রান করা এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান বলেন, ‘অন্য পাশ থেকে ইমরুলের ব্যাটিং আমার কাছে দারুণ লেগেছে। ইমরুল কখনো ছয়ে ব্যাটিং করেনি। সে টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান। প্রথমবার এই পজিশনে নেমে এমন বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে এত দারুণ খেলা ছিল অসাধারণ কিছু।’ বাঁ-হাতি ওপেনার ইমরুলকে ছয়ে নামানোর পেছনে অন্যতম কারণ আফগান লেগস্পিনার রশিদ খানকে সামলানো। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ৩০ গড়ে ২০৭০ রান করেছেন ৩১ বছর বয়সী ইমরুল। ১৫টি ফিফটির সঙ্গে রয়েছে ২টি সেঞ্চুরি। সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস ১১২ রান।