এশিয়া কাপের ব্যর্থতার পর আবারো শ্রীলঙ্কা জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়কত্ব হারালেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। তার পরিবর্তে এবার লঙ্কানদের ওয়ানডে দলের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে টেস্ট অধিনায়ক দীনেশ চাণ্ডিমালকে। এ কারণে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী  অ্যাশলে ডি সিলভার কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন ম্যাথিউস, চিঠিতে তিনি লিখেছেন, বোর্ডের এমন সিদ্ধান্তে আমি খুবই বিস্মিত হয়েছি। আমার মনে হয় তারা আমাকে বলির পাঠা বানিয়েছে। আমি এশিয়া কাপের বাজে পারফরম্যান্সের দায় নিতে প্রস্তুত। কিন্তু এই দায় যদি আমার একার ওপর চাপানো হয় তাহলে সেটা হবে বিশ্বাসঘাতকতা। আর হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে ও নির্বাচক মন্ডলীর ওপর ক্ষোভ ঝেরে তিনি বলেন, কোচও নিবাচকমন্ডলী যদি মনে করেন আমি ওয়ানডে ও টি টোয়েন্টি খেলার মতো ফিট নই তাহলে আমি অবসর নিয়ে নেবো। কখনো দলের বোঝা হয়ে থাকতে চাই না। দায়িত্ব নেয়ার পর নতুন কোচ হাথুরুসিংহে আমাকে বলেছিলেন ২০১৯ বিশ্বকাপ পর্যন্ত আমাকে দলের নেতৃত্বে দেখতে চান। দায়িত্ব ফিরে পাওয়ার ১০ মাস পর আবারো ম্যাথিউসকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড। এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশের বিপক্ষে হারের পর আফগানিস্তানের বিপক্ষে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে পড়ে আসরের চারবারের চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা। দলের অভিজ্ঞ দুই তারকা কুমার সাঙ্গাকারা ও মাহেলা জয়াবর্ধনের অবসরের পর শ্রীলঙ্কা দলে অস্থিরতা চলছে। বিশেষ করে ওয়ানডে ফরম্যাটে গত ১৮ মাসে শ্রীলঙ্কা দলের অধিনায়ক হিসেবে উপুল থারাঙ্গা, লাসিথ মালিঙ্গা, চামারা কাপুগেদারা ও থিসারা পেরেরাকে দায়িত্বে দেখা গেছে। লঙ্কানরা ওয়ানডেতে নিজেদের শেষ ৪০ ম্যাচের মধ্যে হার দেখে ৩০ ম্যাচে। ২০১৩ থেকে ২০১৭ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত শ্রীলঙ্কা দলে অধিনায়ক ছিলেন ম্যাথিউস। কিন্তু ঘরের মাঠে গত বছর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাজে পারফরম্যান্সের কারণে পদত্যাগ করেছিলেন তিনি। বছরের শুরুতে বাংলাদেশের সাবেক কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে লঙ্কানদের দায়িত্ব নিলে আবারো দলপতির দায়িত্ব পান ম্যাথিউস। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাজে পারফরম্যান্সের পর নিজেদের আট ম্যাচের ছয়টিতে হার ও দু’টিতে জিতেছে তারা। এর মধ্যে দু’টি হার ছিল জিম্বাবুয়ে ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে।
২০১৪তে বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব নেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। আর গত বছর হঠাৎই ছেড়ে দেন দায়িত্ব। কোচ হাথুরুর অধীনে সাফল্যের শিখরে পৌঁছে বাংলাদেশ। তবে অভিযোগ ছিল তিনি নিজের সিদ্ধান্ত জোর করে খেলোয়াড়দের ওপর চাপিয়ে দেন। কখনও দলের ব্যর্থতার জন্য কাউকে এককভাবে দোষী করে বসেন। বাংলাদেশ দলের সিনিয়র খেলোয়াড়দের অনেকেই এই কারণে অসন্তুষ্ট ছিলেন তার প্রতি।