× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

১৫ ম্যাচে ৮৬ গোল তহুরা-মারিয়াদের

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮, মঙ্গলবার

এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্বে বাংলাদেশের প্রথম লক্ষ্য পূরণ হয়েছে, গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে। রোববার গ্রুপের শেষ ম্যাচে ভিয়েতনামকে ২-০ গোলে হারিয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েই দ্বিতীয় রাউন্ডের টিকিট কাটে বাংলাদেশ। এ নিয়ে গেল এক বছরে চারটি টুর্নামেন্টে অংশ নিয়ে তিনটিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। যার শুরুটা হয় ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে ঢাকায় অনুষ্ঠিত সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জয়ের মধ্য দিয়ে। এরপর চলতি বছরের এপ্রিলে হংকংয়ের জকি কাপে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশের মেয়েরা। মাস দেড়েক আগে ভুটানে অনুষ্ঠিত সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ চ্যাম্পিয়নশিপে দুর্দান্ত খেলেও রানার্সআপ হয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয় মারিয়া-তহুরাদের। তবে, সেই কষ্টটা মেয়েরা ভুলেছে ভিয়েতনামকে হারিয়ে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয় রাউন্ডে জায়গা করে নিয়ে। এই চার আসরে ১৫ ম্যাচে ৮৬ গোল দিয়েছে বাংলাদেশ।
হজম করেছে মাত্র তিনটি। এরমধ্যে ভুটানে ভারতের কাছে খাওয়া এক গোলে একমাত্র শিরোপা হাতছাড়া হয়েছে মেয়েদের।
বাছাইপর্বের ২৯ দেশের মধ্যে সেরা আটে এখন বাংলাদেশ। প্রথমপর্ব টপকে যাওয়া বাংলাদেশ, অস্ট্রেলিয়া, লাওস, চীন, ইরান, মিয়ানমার, ভিয়েতনাম ও ফিলিপাইনকে নিয়ে হবে দ্বিতীয় রাউন্ডের প্রতিযোগিতা। দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলার পর চার দল উঠবে চূড়ান্তপর্বে। দ্বিতীয় রাউন্ডের খেলা কোথায় হবে এখনো ঠিক হয়নি। তবে, খেলার সময় নির্ধারণ হয়ে আছে আগামী বছর ২৩শে ফেব্রুয়ারি থেকে ৩রা মার্চ। দ্বিতীয়পর্বের সেরা চারের সঙ্গে চূড়ান্তপর্বে সরাসরি খেলবে উত্তর কোরিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও থাইল্যান্ড। এর মধ্যে প্রথম তিন দল গত আসরের চ্যাম্পিয়ন, রানার্সআপ ও তৃতীয়। থাইল্যান্ড চূড়ান্তপর্বের আয়োজক। এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের সাফল্য নতুন নয়। গত আসরেও গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে চূড়ান্তপর্বে উঠেছিল। তবে, এবার চূড়ান্তপর্বে উঠতে পার হতে হবে আরেক ধাপ। বাংলাদেশের মেয়েরা থাইল্যান্ডে চোখ রেখেই শুরু করবে দ্বিতীয়পর্বের প্রস্তুতি।
৬ গ্রুপের মধ্যে বাংলাদেশ, অস্ট্রেলিয়া ও চীন পূর্ণ ১২ পয়েন্ট নিয়ে প্রথমপর্ব টপকে দ্বিতীয়পর্বে উঠেছে। শেষ চার টুর্নামেন্টে মেয়েদের গোলসংখ্যা ৮৬। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের দুই আসরে ৩৫ গোলের বিপরীতে বাংলাদেশ হজম করেছে একটি। হংকংয়ের জকি কাপে ২৬ গোল দিয়েছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। ওই আসরে দুই গোল হজম করে মারিয়া-তহুরারা। সদ্য সমাপ্ত আসরে চার ম্যাচে ২৭ গোল দিয়েছে বাংলাদেশ। কোনো গোল হজম করেনি। প্রথমপর্বে গোল হজম না করা অন্য চার দল- চীন, ইরান, থাইল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া। বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র দল হিসেবে মেয়েদের এই টুর্নামেন্টের দ্বিতীয়পর্বে উঠেছে। ভারত, পাকিস্তান, নেপাল ও শ্রীলঙ্কাা বিদায় নিয়েছে প্রথমপর্ব থেকেই। প্রথম লক্ষ্য পূরণ হওয়ায় শুকরিয়া আদায় করে নারী দলের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন বলেন, ‘মেয়েরা দীর্ঘদিন যে কঠোর পরিশ্রম করেছে তারই ফল এটা। আমাদের লক্ষ্য ছিল ম্যাচ বাই ম্যাচ জিতে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়া। মেয়েরা নিজেদের মতো করে খেলেই এ সাফল্য এনেছে। এখন আমাদের লক্ষ্য থাইল্যান্ডে খেলার যোগ্যতা অর্জন করা। আমাদের ভুটানে অনূর্ধ্ব-১৮ সাফ আছে। আমরা এই টুর্নামেন্ট শেষে ৮ই অক্টোবর থেকে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয় রাউন্ডের প্রস্তুতি শুরু করবো।’ এর আগে অবশ্য ছোটনের লক্ষ্য সাফ অনূর্ধ্ব-১৮ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর