কারাগারে থাকা বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসার নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের শুনানি আজ। গতকাল রাষ্ট্রপক্ষের করা এক আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ শুনানির জন্য এ দিন ধার্য করেন। আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী ও কায়সার কামাল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। এদিন অ্যাটর্নি জেনারেল শুনানি করতে আদালতের কাছে এক সপ্তাহের সময়ের আবেদন করেন। তবে, রাষ্ট্রপক্ষের এ আবেদনে আপত্তি জানান খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। উভয়পক্ষের বক্তব্য শুনে আদালত শুনানির জন্য মঙ্গলবার দিন ধার্য রাখেন। বিএনপির চেয়ারপারসনের আইনজীবী কায়সার কামাল মানবজমিনকে বলেন, ‘আজকে (গতকাল) বিষয়টি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় ছিল। আমরাও আদালতে উপস্থিত ছিলাম। কিন্তু অ্যাটর্নি জেনারেল সময়ের আবেদন করেন।’ খালেদা জিয়ার এই আইনজীবী বলেন, ‘রাষ্ট্রপক্ষে যখন শুনানির জন্য এক সপ্তাহ সময়ের আবেদন করা হয় তখন আদালত বলেছেন, এটা তো চিকিৎসার বিষয়। সেনসেটিভ বিষয়। তাই এটির শুনানি করতে হবে। এই বলে আদালত শুনানির জন্য মঙ্গলবার (আজ) দিন ধার্য রাখেন।’
এর আগে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার নির্দেশনা চেয়ে গত ৯ই সেপ্টেম্বর এ রিট আবেদনটি করা হয়। বিএনপির চেয়ারপারসনের আইনজীবীরা জানান, রিটে বিশেষায়িত কোনো হাসপাতালে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা এবং এ বিষয়ে কারা কর্তৃপক্ষকে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা চাওয়া হয়। গত ১৫ই সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত পাঁচ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে গিয়ে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে। পরদিন ১৬ই সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহ আল হারুনের হাতে ওই স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রতিবেদন দাখিল করে মেডিকেল বোর্ড। একই সঙ্গে বিশেষায়িত হিসেবে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে সুপারিশ করে মেডিকেল বোর্ড। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় গত ৮ই ফেব্রুয়ারি এক রায়ে খালেদা জিয়াকে ৫ বছর কারাদণ্ড দেন সংশ্লিষ্ট বিচারিক আদালত। সেই থেকে তাকে রাখা হয়েছে নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে।