ফাহিম (১২), সোহেল (১০) ও উজ্জল (১১) নামে তিন শিশুকে নিয়ে চট্টগ্রাম মহানগরীর লাভলেইন মোড়ে অপেক্ষা করছিল মামুনুর রশীদ মামুন(২০)। আর তা নজরে আসে স্থানীয় লোকজনের। একের পর এক প্রশ্নের জবাবে অসংলগ্ন কথা বলায় মামুুনের উপর শুরু হয় কিল-ঘুষি আর লাথি। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এভাবে গণধোলাই দিয়ে মামুনকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়। তিন শিশুকে উদ্ধার করে হেফাজতে নেয় পুলিশ।
চট্টগ্রাম মহানগর কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন জানান, চাঁদপুর জেলার কচুয়া এলাকার তৈয়ব আলীর ছেলে মামুনুর রশিদ মামুন (২০) দীর্ঘদিন ধরে শিশু পাচার কাজে জড়িত। চট্টগ্রাম শহর ও জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে শিশুদের এনে সে ঢাকা ও দেশের বাইরে পাচার করে দিত।
এই তিন শিশুকে ঢাকায় পাচারের উদ্দেশ্যে শনিবার দিনগত রাত থেকে নগরীর বটতলির একটি হোটেলে এনে কৌশলে আটকে রাখে সে।
মঙ্গলবার সকালে লাভলেইন মোড়ে শিশুদের নিয়ে পাচারের অপেক্ষায় ছিল মামুন। বিষয়টি স্থানীয় লোকজনের নজরে আসে। এরপর গণধোলাই দেয় স্থানীয় লোকজন। এতে গুরুতর আহত হয় সে।
ওসি জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মামুন শিশু পাচারের কথা স্বীকার করলেও গুরুতর আহত হওয়ায় তেমন কথা বলা সম্ভব হয়নি। তাকে চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের পর হয়তো আরও গোপন তথ্য জানা যাবে।
ওসি আরও জানান, উদ্ধার হওয়া শিশুগুলোও তেমন কথা বলতে পারছে না। তাদের নেশাজাতীয় দ্রব্য খাওয়ানো হয়েছে। তারা কোনোমতে নামটুকু বলতে পারছে। তাদেরও চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। সুস্থ হলে শিশুদের কাছ থেকেও হয়তো অনেক কিছুই জানা যাবে।
নগরীর লাভলেইন এলাকার বাসিন্দা আরিফুর রহমান ফয়সল (৩৭) জানান, বোকা ধরণের তিনটি শিশুকে দেখে স্থানীয় লোকজনের মনে সন্দেহ জাগে। তাতে শিশুগুলো সম্পর্কে জানতে চাইলে পাচারকারী মামুন অসংলগ্ন কথা বলে। শিশুগুলোকে নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে পাচারের বিষয়টি বুঝতে পেরে স্থানীয় লোকজন মামুনকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।