× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

খুলনায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের একশ’ কিলোমিটার বাঁধ হুমকির মুখে

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা থেকে
২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮, বুধবার

খুলনা জেলার তিন উপজেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের এক শ’ কিলোমিটার বাঁধ হুমকির মুখে। ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ যেকোনো সময় ভেঙে প্লাবিত হয়ে সম্পদের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। প্রয়োজনীয় অর্থের অভাবে বাঁধ মেরামত করা যাচ্ছে না। উপজেলাগুলো হচ্ছে- দাকোপ, পাইকগাছা ও কয়রা।
খুলনা জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির আগস্ট মাসের সভায় এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। সভায় জনপ্রতিনিধিরা ভাঙন রোধে কার্যকরী ব্যবস্থা ও নদী পুনঃখননের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। উন্নয়ন কমিটির সভার প্রতিবেদনে বলা হয়, কয়রা উপজেলার ১৩০ কিলোমিটার বাঁধের মধ্যে ৪০ কিলোমিটার ঝুঁকিপূর্ণ। এ উপজেলার শাকবাড়িয়া নদীর ভাঙনে জোড়শিং গ্রাম হুমকির মুখে। মহারাজপুর ইউনিয়নের দশালিয়া নামক স্থান যেকোনো সময় প্লাবিত হতে পারে।
পাইকগাছা উপজেলার আগড়ঘাটা এলাকায় নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। দাকোপ উপজেলার চালনা বাজারসহ কয়েকটি এলাকা ভাঙনের মুখে। রূপসা উপজেলার কাস্টমঘাটের পূর্ব পাড়ে নদী ভেঙে এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
উন্নয়ন কমিটির সভায় কয়রা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা আ.খ.ম. তমিজ উদ্দিন উল্লেখ করেন, উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে ৬টি ইউনিয়নবাসী ঝুঁকির মধ্যে। দাকোপ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ আবুল হোসেন বলেন, ৩২ ও ৩৩ নম্বর পোল্ডারের বাঁধ সমূহের নির্মাণ কাজ ধীর গতিতে চলছে।
ডুমুরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খান আলী মুনসুর ৩০ নম্বর পোল্ডারের ৩ নম্বর স্লুইসগেটটি দ্রুত সংস্কারের দাবি করেন। রূপসা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইলিয়াছুর রহমান আঠারোবাকী নদী খননের মাটি সরিয়ে রাস্তা ও বনায়নের পরামর্শ দিয়েছেন। এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড খুলনা-২ এর উপবিভাগীয় প্রকৌশলী পলাশ কুমার ব্যানার্জি জানান, দাকোপ উপজেলার ঢাকি নদীর খনা নামক স্থানে ৯০ মিটার, মেদেরচরে ২০ মিটার, তিলডাঙ্গা ইউনিয়নের আঁধার মানিক এলাকায় ফাটল দেখা দিয়েছে। বটিয়াঘাটা উপজেলায় কাজিবাছা নদীর তীরে কিসমত ফুলতলা নামক স্থানে ১৮০ মিটার, পাইকগাছা উপজেলার শিবসা নদীর কুমখালি নামক স্থানে ৪৫ মিটার এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত। বাঁধ সংস্কারের জন্য ১ কোটি ৫৫ লাখ টাকার কাজ চলছে। যা প্রয়োজনের তুলনায় অর্ধেক।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর