× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বারইগ্রাম-আছিরগঞ্জ সড়কে দুর্ভোগ

বাংলারজমিন

মিলাদ জয়নুল, বিয়ানীবাজার (সিলেট) থেকে
২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮, বুধবার

বিয়ানীবাজার উপজেলার বারইগ্রাম-আছিরগঞ্জ সড়কের মাত্র চার কিলোমিটার সড়ক কাঁচা থাকায় সাতটি গ্রামের জনসাধারণ সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন। এ সড়কের কাঁচা অংশে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় দুইটি ব্যয়বহুল সেতু নির্মাণ করলেও সড়ক পাকা না হওয়ায় এর সুফল পাচ্ছেন না এলাকাবাসী। অথচ সড়কটি পাকাকারণ করা হলে গোলাপগঞ্জ, বিয়ানীবাজার ও বড়লেখা উপজেলার মধ্যে সড়ক যোগাযোগ আরও সহজতর হবে।
সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার বারইগ্রাম-আছিরগঞ্জ সড়কের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে ৬ কিলোমিটার পাকাকরণ করা হলেও প্রায় মধ্য অংশ এখনো কাঁচা রয়েছে। বন্যা ও অতি বৃষ্টিতে কাঁচা সড়কের অবস্থাটি বর্তমানে চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বিকল্প যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় এলাকাবাসী কাদাযুক্ত সড়ক দিয়ে চলাচল করছেন। সড়কের বারইগ্রাম এলাকা থেকে পীরেরচক এলাকা পর্যন্ত পাকা রয়েছে, মধ্যভাগের চার কিলোমিটার কাঁচা সড়ক পেরিয়ে দেবারই এলাকা থেকে আছিরগঞ্জ বাজার পর্যন্ত সড়ক পাকা রয়েছে। চার কিলোমিটার কাঁচা সড়কের কারণে বিপাকে পড়েছেন তিলপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম দাসউরার পীরেরচক, দেবারাই, মাটিজুরা, ইসলামপুর টুকা, বরাউট, খাগাইল এলাকার বাসিন্দারা। এ সড়কটি পাকা হলে গোলাপগঞ্জ, বিয়ানীবাজার ও বড়লেখা উপজেলার বাসিন্দারের সড়ক যোগাযোগ আরো সহজতর হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জনদুর্ভোগ লাগবে ওই রাস্তার কুশিটিকি খালের উপর প্রায় ৮ বছর আগে ৫১ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি সেতু নির্মাণ করা হয়েছিল।
কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি চলাচল উপযোগী না হওয়ায় সেতু কাজে আসছে না। এছাড়া বর্ষাকালে সেতুর অ্যাপ্রোচ সড়কের মাটি সরে গিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। বন্যার পানিতে রাস্তাটির অনেক অংশ ডুবে যাওয়ার কথা জানান এলাকাবাসী।
পীরেরচক এলাকার বাসিন্দা নাজিম উদ্দিন (৪৫) বলেন, ‘বর্ষায় সড়কের উপর কুশিটিকি ব্রিজের দুই সাইডের (পাশের) মাটি সরে যায়। যার কারণে গাড়ি উঠতে পারে না। আমরা স্থানীয় এলাকাবাসী মিলে ব্রিজের গোড়ায় ও রাস্তার পাশে মাটি দিয়েছি।’ স্থানীয় গৃহিণী হাসনা বেগম (৪৫) অভিযোগ, ‘রাস্তা ঠিক না হওয়ায় ছেলেমেয়েদের বিবাহ দেয়াও কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের দাবি, এই রাস্তাটি দ্রুত উঁচু ও পাকা করা হোক।’
তিলপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কের ৪ কিলোমিটার মাটি ভরাট ও পাকাকরণ কাজ হলে এ অঞ্চলের অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ উপকৃত হবে। সড়কটির ওপর কুশিটিকি খালে ৫১ মিটার গার্ডার ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে ৮ বছর আগে; কিন্তু রাস্তার কারণে ব্রিজটি অকেজো বলা চলে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এ রাস্তায় মাটি ভরাট ও পাকাকরণ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বরাদ্দ চাওয়া হলেও এখনো কোনো ফল পাচ্ছি না।’
এ ব্যাপারে বিয়ানীবাজার উপজেলা প্রকৌশলী রমেন্দ্র হোম চৌধুরী বলেন, ‘জনদুর্ভোগ লাঘবে এ রাস্তাটির কাজের একটি প্রাক্কলন স্থানীয় সরকারের এলজিইডি বিভাগের সিলেট অফিসে পাঠানো হয়েছে। রাস্তার প্রাক্কলন অনুমোদিত হলে টেন্ডারের মাধ্যমে অচিরেই এ সড়কের মাটি ভরাট ও পাকাকরণ কাজ শুরু করা হবে।’
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর