আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উপজেলার তরুণ প্রজন্মের লক্ষাধিক ভোটারকে সামনে রেখে ‘সাইবার’কে হাতিয়ার করে সামাজিক যোগাযোগ (সোশ্যাল মিডিয়া) মাধ্যমগুলোতে ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা আরও সরব হয়ে উঠছে। উপজেলায় সরকারের নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরে নৌকা মার্কায় ভোট চাওয়ার পাশাপাশি সরকার ও দলের বিরুদ্ধে কুৎসা, ভুয়া খবর, গুজবের জবাব দিয়ে সোশাল মিডিয়াগুলোতে নিয়মিত পোস্ট দিচ্ছেন জন প্রতিনিধি থেকে শুরু করে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের তৃণমূলের হাজারো নেতাকর্মী। ইতিমধ্যে স্থানীয় এমপি ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরকারের উন্নয়ন ও আওয়ামী লীগের পক্ষে প্রচারণায় সর্বাধিক সরব উপজেলার ৩২১ জন তরুণকে পুরস্কৃত করেছেন। স্থানীয় এমপি ফাহমী গোলন্দাজের অনুসারী উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনসমূহের প্রায় ১০/১২ হাজার সক্রিয় নেতা-কর্মীর রয়েছে ফেসবুক একাউন্ট। এসব একাউন্টের টাইমলাইন বা নিউজ ফিডে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রম, কুৎসা, গুজবের জবাবের পাশাপাশি নিজেদের সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়মিত তুলে ধরছেন তারা। স্থানীয় এমপি ফাহমী গোলন্দাজ বাবেলের ফেসবুক আইডি’র ৫ হাজার বন্ধু ছাড়াও প্রায় ৬০ হাজার ফলোয়ার রয়েছে। চলতি সপ্তাহে স্থানীয় এমপি ফাহমী গোলন্দাজ বাবেলের ফেসবুকের টাইমলাইনে দেখা গেছে, উপজেলায় সড়ক যোগাযোগ, বিদ্যুৎ, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে উন্নয়ন এবং উপজেলায় সন্তোষজনক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে একাধিক ইতিবাচক পোস্ট। লঙ্গাইর ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল আমিন বিপ্লব ও যশরা ইউপি চেয়ারম্যান তারিকুল ইসলাম রিয়েল বর্তমান সরকারের গত সাড়ে চারবছর সময়ে যশরা ও লঙ্গাইর ইউনিয়নে রাস্তা-ঘাট, শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে উন্নয়ন, কৃষি, সেচ ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় ইতিবাচক পরিবর্তনের চিত্র ও খতিয়ান তুলে ধরেন।
পৌর মেয়র আলহাজ ইকবাল হোসেন সুমন বলেন, সরকার ও আওয়ামী লীগকে বেকায়দায় ফেলতে সোশ্যাল মিডিয়ার যেখানে ভুয়া খবর, কুৎসা, গুজব রটানো হয় সেখানেই তথ্য ও পরিসংখ্যান দিয়ে জবাব দেয় গফরগাঁও উপজেলার হাজারো নেতাকর্মী। এতে গফরগাঁও উপজেলার তরুণ সমাজ বিভ্রান্তি থেকে রক্ষা পাচ্ছে। স্থানীয় এমপি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল বলেন, গফরগাঁও উপজেলার ডিজিটালাইলজড তরুণ প্রজন্মকে এ উপজেলায় সরকারের সাড়ে চারবছরে দেড় হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন বিষয়ে আপডেট করতে সোশ্যাল মিডিয়া সবচেয়ে বেশি কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।